দিবালাকে জুভেন্টাস ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে ক্লাব কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হয়েছিলেন আলভেজ। প্রধান নির্বাহী জিওসেপ্পে মারোত্তা নিশ্চিত করেছিলেন আগামী মৌসুমে আর তুরিনের দলটিতে থাকছেন না ব্রাজিলিয়ান রাইটব্যাক। শেষ পর্যন্ত আলভেজের কাছ থেকেও এল ক্লাব ছাড়ার ঘোষণাটি।
জুভেন্টাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য ইনস্টাগ্রামকে বেছে নিয়েছেন আলভেজ। লিখেছেন, ‘জুভেন্টাসের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক শেষ হল। সেইসব মানুষের স্মৃতি আমার সঙ্গী হচ্ছে, যারা ভালোবাসা ও আবেগ দিয়ে জুভেন্টাসের মত একটি অসাধারণ ক্লাব গড়ে তুলেছেন।’
আলভেজ এখন পুরনো গুরু পেপ গার্দিওলার কাছে ফিরছেন বলেও সংবাদ মাধ্যমে খবর আসছে। এই গ্রীষ্মেই ম্যানচেস্টার সিটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি।
৩৪ বছর বয়সী আলভেজের জুভেন্টাস ছাড়ার পেছনে ক্লাবের বিরাগভাজন হওয়ার কারণটি সামনে চলে আসে কিছুদিন আগে। আর্জেন্টাইন তারকা পাওলো দিবালাকে জুভেন্টাস ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে ক্লাব কর্মকর্তাদের রোষে পড়েন তিনি। ক্লাব সমর্থকরাও বিষয়টি ভালো চোখে নেয়নি। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে তাই আলভেজকে তুরিন ছাড়ার পথই বেছে নিতে হত।
কিন্তু আলভেজ বা সদ্য সাবেক হওয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষের কেউই চাননি কাঁদা ছোড়াছুঁড়ির মধ্য দিয়ে সব শেষ হোক। তাই আর আসল কারণ নিয়ে জল ঘোলা করেনি কোন পক্ষই। মারোত্তা অবশ্য পরোক্ষে স্বীকার করেছিলেন কিছুটা, ‘এটা কোন দ্বন্দ্ব নয়। নিজের ইচ্ছাটাই এখানে বড় কিছু। হয়তো বিদায়টা একটু তিক্ত হয়েছে, কিন্তু আমি আবারও বলছি এখানে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না।’
বার্সেলোনায় থাকতে আলভেজকে ভালো মতই ব্যবহার করেছেন গার্দিওলা। জাভি-ইনিয়েস্তাদের ছাড়িয়ে মেসিকে দিয়ে সর্বোচ্চ ৪২টি গোল করিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। জুভেন্টাসেও দেখিয়েছেন আগের সেই ঝলক। ম্যানসিটি ও চেলসির মত ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবগুলো তার দিকে চেক বাড়িয়েই রেখেছিল। সম্ভবত বাজিটা জিততে যাচ্ছে গার্দিওলার ক্লাবই।
বার্সায় থাকতে গার্দিওলার অধীনে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং তিনটি লা লিগা জিতেছেন আলভেজ। আর জুভেন্টাসে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৩ ম্যাচে খেলে সিরি আ ও ইতালিয়ান কাপ জিতেছেন। কার্ডিফে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে জুভরা না হারলে যোগ হতে পারত আরেকটি ভারী শিরোপা।