অস্ত্র আইন ও অর্থ পাচারের দুই মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ঠিকাদার জি কে শামীমের চার দেহরক্ষী কোন যোগ্যতায় কীভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া কেন তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা হয়েছে তা এবং তাদের আয়কর রিটার্নের তথ্য আগামী বুধবার হলফনামা আকারে হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শামীমের চার দেহরক্ষী হচ্ছেন মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন ও মো. সামশাদ হোসেন।
এই চার আসামির জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শামীম সরদার।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজের অবকাশকালীন আদালত গত ২৪ ডিসেম্বর জি কে শামীমের চার দেহরক্ষীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তারা ৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এরপর হাইকোর্ট তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। সে রুলে আসামীদের কেন তাদের জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুলের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্ট আদেশ দিলেন।
এর আগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সাত দেহরক্ষীর মধ্যে হাইকোর্টের আজকের আদেশ প্রাপ্ত চারজনের বাইরে বাকিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম।