জিয়া চ্যারিটেবল এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দেননি। নিজের নিরাপত্তা এবং আইনজীবীদের নির্বাচনী ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে আদালতের কাছে আবারো সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আগামী ২৫ মে বিএনপি চেয়ারপারসনের পরবর্তী হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
মঙ্গলবার তার অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তারা খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়ারও দাবি জানান, যেন তার অনুপস্থিতিতেই আদালত মামলা চালিয়ে যেতে পারে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, আগামী তারিখে বেগম খালেদা জিয়াকে হাজির করানোর প্রতিশ্রুতি দেন তার আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, তারা আগামী নির্ধারিত দিনে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে উপস্থিত করবেন। তিনি আরও বলেন, দুই মামলারই বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদকে ২৫ মে জেরা করবে আসামীপক্ষ।
আজ (মঙ্গলবার) আদালতে মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ও মামলার বাদী হারুনুর রশীদ।এর আগে সর্বশেষ ৫ এপ্রিল আদালতে হাজিরা দেন খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর হাজিরা দিয়ে পর পর কয়েকটি তারিখে আদালতে হাজিরা দেননি তিনি। এ জন্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।এরপর গত ৪ মার্চ আরেকটি তারিখেও আদালতে হাজিরা দেননি বিএনপি চেয়ারপার্সন।
গত ৫ এপ্রিল দু’পক্ষের শুনানির পর আদালত খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর মামলার প্রথম সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি। ওই আবেদনও মঞ্জুর করে সাক্ষীকে জেরা করতে ৫ মে নতুন তারিখ নির্ধারন করেন আদালত।