পাঁচ বছর বাদে রিয়াল মাদ্রিদকে লা লিগা এনে দিয়েছেন। জিদান আহামরি কিছু করেননি। করেছেন এমন কিছু, যা তাকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। তিনি এখন বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেন, ‘আমি এক সফল কোচ।’
১৮ মাস আগে দিশেহারা একটা দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দলের ভেতরে কোন্দল, কোন্দল ছিল দলের বাইরেও। জিদান সেসব সামলালেন। চারটি ট্রফি এনে দিলেন। আরেকটি হাতছানি দিচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
গত জানুয়ারিতে রাফায়েল বেনিতেজকে বরখাস্ত করে রিয়াল। জিদান দায়িত্ব নিবেন না, নিবেন না করতে করতে শেষ পর্যন্ত নিয়েই নেন।
রিয়ালের ম্যানেজারের দায়িত্ব নেয়া মানে টেনশনের সঙ্গে সংসার করা। ২০১৫ সালে কার্লো আনচেলত্তি যখন বরখাস্ত হন, অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। সেই অবাকের মাত্রা বেড়ে যায় বেনিতেজের দায়িত্ব নেয়া দেখে। সেই সময় সমর্থকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে বেনিতেজকে সরিয়ে দেয়া হোক।
জিদানের অধীনে রিয়াল দুই মৌসুমে বার্সার চেয়ে সাত পয়েন্ট বেশি পেয়েছে। অ্যাটলেটিকোর চেয়ে ২১ পয়েন্ট বেশি।
ইসকো জিদানকে নিয়ে বলেছেন, ‘জিদানের কাজের জন্যই আমরা এখানে। তাকে ধন্যবাদ। এই মৌসুমে ডাবলও জিততে পারি আমরা। প্রথম ধাপ শেষ। এখন ৩ জুন জুভেন্টাসের বিপক্ষে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা জিততে চাই।’
ইসকোর এমন প্রশংসার যথেষ্ট যুক্তি আছে। জিদান দায়িত্ব নেয়ার পর দলের ভেতর একটা শৃঙ্খলা আনেন। খেলোয়াড়রা তাকে সম্মান করতে থাকে। তার নির্দেশ পালন করে হৃদয় দিয়ে।
রিয়ালের মতো ড্রেসিংরুমে শান্তি ধরে রাখা সহজ কথা নয়। সেখানে ইগোর ছড়াছড়ি। কীভাবে এসব সামলান?
জিদান উত্তরে বলেন, ‘ইগো সামলানোর চেয়ে বড় কথা হলো মানুষকে সামলানো। এটা বিশেষ কিছু। যেকোনো ট্যাকটিসের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
জিদান সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে করতে ভাগ্যেরও সহায়তা পেয়েছেন। সবকিছু তার মতো করে হয়েছে। এখন দাঁড়িয়ে নতুন রেকর্ডের সামনে। ডেল বক্সের পর কোনও কোচ রিয়ালের হয়ে একইসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লা লিগা জিততে পারেননি। জিদান যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে তার জন্য সেটা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে।