চোটের কারণে ছিটকে গেছেন দলের অপরিহার্য দুই সদস্য সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তাতে নতুনদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। সামনে বিশ্বকাপ বলেই শান্ত, রাব্বি, সাইফউদ্দিনদের বাজিয়ে দেখতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
সেজন্য অবশ্য সিরিজ জয়ের সঙ্গে আপোষ করার সুযোগ নেই। মাঠের পারফরম্যান্স ধরে রাখা ও নতুনদের সক্ষমতা যাচাই- এই দুই চ্যালেঞ্জ নিয়েই রোববার মিরপুরে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু দুপুর আড়াইটায়।
ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে জিম্বাবুয়েকে টানা ১১ ম্যাচ হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০১ সালের পর দেশের মাটিতে জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে আর সিরিজ হারেনি স্বাগতিকরা। সময়ের ব্যবধানে জয়ের পাল্লায় বেশ ভারি করেছে টিম টাইগার্স। গত ২১ বছরে মুখোমুখি ৬৯ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৪১টিতে। সেখানে জিম্বাবুয়ের জয় ২৮ ম্যাচ।
সময়ের ধারায় এগিয়ে যাওয়াই সামনে এনেছে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। সিরিজ জিতলে বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই। হেরে গেলেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হবে গোটা দল। সেটি নিয়ে বেশ সতর্ক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
‘চ্যালেঞ্জ প্রতি ম্যাচে যেটা থাকে সেটাই। সবার প্রত্যাশা আমরা জিতব এবং জেতার আশাই করছে সবাই। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, অন্য দলের সাথে যে চ্যালেঞ্জটা নিয়ে খেলেছি, গত এশিয়া কাপে যেভাবে খেলেছি, সেটাই থাকবে। জিম্বাবুয়ের প্রায় সব সিনিয়র খেলোয়াড় ফিরেছে। আর তাদের দলের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে সবচেয়ে ভালো রেকর্ড বাংলাদেশেই। সুতরাং আমাদের ১০০ ভাগ দিয়েই খেলতে হবে। হয়তো জিতলে সবাই বলবে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। হারলে কিন্তু ভিন্ন কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
‘যেকোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু নতুন খেলোয়াড় দলে নেয়া হয়েছে। সামনে বিশ্বকাপকে চিন্তা করে। তাদের দেখে নেয়ার এটাই সুযোগ। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। একই সাথে ম্যাচ জেতাটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ যোগ করেন অধিনায়ক।
ঘরের মাঠে ৯ মাস পর খেলতে নামছে বাংলাদেশ। গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের পর থেকে বিদেশের মাটিতেই খেলেছেন মাশরাফী-মুশফিকরা। প্রস্তুতি ভালো হওয়ায় লম্বা বিরতির প্রভাব থাকবে না বলে মনে করছেন মাশরাফী।
‘অনেকদিন পর হোমে খেলতে নামছি। তবে সবাই আত্মবিশ্বাসী। সাকিব-তামিম থাকবে না, এটা আগে থেকেই সবাই জানে। সেভাবেই সবাই প্রস্তুতি নিয়েছে, সেরা পারফরম্যান্স দেয়ার জন্য যা যা দরকার করেছে। কাল খেলা, আশা করছি সবাই যেটা চাচ্ছে, সেটা যেন করতে পারে।’