মূল সিরিজ মাঠে গড়ানোর আগে শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। বল হাতে প্রস্তুতির শুরুটাও দুর্দান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রান করেছে তারা।
প্রস্তুতি ম্যাচ বলে টসের কোনো নিয়ম ছিল না। তাই বাংলাদেশ শুরুতে ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই অধিনায়ক নিরোশান ডিকেভেল্লাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রুবেল হোসেন।
দ্বিতীয় উইকেটে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আভাস দেন ধানুস্কা গুনাথিলাকা ও ওশাদা ফার্নান্দো। তবে বাদ সাধেন এ পেসার। মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে ওশাদাকে সাজঘরে পাঠান রুবেল।
একটু পরই ইতিবাচক শুরু করা গুনাথিলাকাকে বিদায় করে দেন তাসকিন আহমেদ। সেই মোসাদ্দেকেরই তালুবন্দি করেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৫ চারে ২৬ রান করেন গুনাথিলাকা। মাত্র ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েন স্বাগতিকরা।
সেখান থেকে দলকে কক্ষে ফেরানোর লক্ষ্যে জুটি বাঁধেন ভানুকা রাজাপাকশে ও শেহান জয়সুরিয়া। তাদের ৮২ রানের জোটে বড় সংগ্রহের ভিত পায় শ্রীলঙ্কা। তবে এ দুজন ফিরতেই আবার পথ হারায় তারা।
দলীয় ১১৪ রানে রাজাপাকশেকে সাব্বির রহমানের তালুবন্দি করেন সৌম্য সরকার। ফেরার আগে ৪ চারে ৩২ রান করেন তিনি। পরক্ষণেই লঙ্কান শিবিরে ছোবল মারেন মোস্তাফিজুর রহমান। অ্যাঞ্জেলো পেরেরাকে আউট করেন তিনি।
পরে পথের কাঁটা হয়ে থাকা জয়সুরিয়াকে ফিরিয়ে দেন সৌম্য। ততক্ষণে ৫ চারে ৫৬ রান করে ফেলেন তিনি। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শানাকা ও হাসারাঙ্গা।
৪৯ রানের জুটি গড়ে মাঝের ধাক্কা সামাল দেন তারা। দলীয় ১৯৫ রানে ব্যক্তিগত ৩২ রান করে হাসারাঙ্গা ফিরলেও লড়াকু সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় লঙ্কানরা। পরে রানের গতি বাড়িয়ে চলেন শানাকা। শেষদিকে তার ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ।
যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগান আকিলা ধনাঞ্জয়া। অবশ্য বেশি রান করতে পারেননি তিনি। তামিম ইকবালের ম্যাজিক্যাল থ্রো’তে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। তবে শানাকা তাণ্ডব চলতেই থাকে।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮২ রান করে শ্রীলঙ্কা। ৬৩ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন শানাকা। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকে সঙ্গ দেয়া আমিলা অপোন্সো ১৩ রানের অপরাজিত থাকেন।