লকডাউন চলাকালে ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাসে বাংলাদেশি কর্মীদের অফিস করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বাংলাদেশে অবস্থানরত জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষাথীরা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রভাবে বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসে ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম কয়েক স্তরে/পর্যায়ে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পেইন, ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের প্রতি বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ এবং সর্বোপরি ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাস শিক্ষার্থীদের সমস্যা অনুধাবন করে গত ১৭ মে থেকে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু শুরুর মাত্র ১ মাস পর জুন মাসের ৩য় সপ্তাহে আবারও ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
২৫ জুলাই জার্মান দূতাবাসে ফোন করা হলে একজন শিক্ষার্থীকে জানানো হয় যে, লকডাউনের কারণে বাংলাদেশি কর্মীরা অফিস করছেন না। তবে কনসুল্যারসহ সকল জার্মান কর্মীরা অফিস করছেন। তাই লকডাউন শেষ হলেই শিক্ষার্থী ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এরূপ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা বেশ হতাশ হয়ে পড়ছে। উল্লেখ্য যে, বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অন ক্যাম্পাস ক্লাস হওয়ায় অক্টোবর, ২০২১ এর মধ্যে জার্মানিতে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১ বছরে প্রায় সহস্রাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জার্মানির বিভিন্ন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়ে গত ৩ সেমিষ্টার (সামার ২০২০, উইন্টার ২০২০/২১, সামার ২০২১) অনলাইনে ক্লাস করছে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জরিপ অনুযায়ী)। ইতোমধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই ব্লক একাউন্টের ১১,০০,০০০/- (এগারো লক্ষ টাকা) জমা রেখেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে অনেকেই কয়েক লক্ষাধিক টাকা টিউশন ফিও জমা দিয়েছে।
তাই, ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের ভিসা সেকশনের কার্যক্রম চলমান এবং দ্রুত করার জন্য ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের পক্ষ থেকে সঠিক কর্মপরিকল্পনা জানার দাবি জানিয়েছে ভিসার জন্য অপেক্ষমান সহস্রাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। একই সাথে অবশ্যই সরকারের প্রজ্ঞাপন মেনে লকডাউন চলাকালীন সময়ে ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাসে বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ পরিচালনা করার দাবি জানান তারা।