ভার্চুয়াল হাইকোর্টে কারা অধিদপ্তরের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) বজলুর রশীদের জামিন মেলেনি।
বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বজলুর রশীদকে জামিন দেননি।
ভিডিও কনাফারেন্সে যুক্ত হয়ে বজলুর রশীদের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মেসবাউল ইসলাম আসিফ।
সেসময় দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন আইনজীবী খুরসিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।
আজকের আদেশের বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরসিদ আলম খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আদালত জামিন আবেদনের ওপর উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বজলুর রশীদকে জামিন দেননি।’
দুর্নীতি দমন কমিশনের তলবে গত বছরের ২০ অক্টোবর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হয় কারা কর্মকর্তা বজলুর। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অসাধু উপায়ে অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় করা মামলায় বজলুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়: ‘ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।’
এরপর গত বছরের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর জজ আদালতে নেওয়া হয় বজলুরকে। তখন আদালতে বজলুরের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। তবে আদালত জামিনের আবেদন নাকচ করে কারা কর্মকর্তা বজলুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্যদিকে গত বছরের ২১ অক্টোবর বজলুর রশীদকে তার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পরবর্তীতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে আদালত বজলুর রশীদের জামিন নামঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন বজলুর রশীদ। এরপর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বজলুর রশীদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। এরপর সে রুলের শুনানি শেষে গত ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট বজলুর রশীদের জামিন আবেদন খারিজ করে রায় দেন। আদালত তার রায়ে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ৬ মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন।
এছাড়া রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন: ‘বজলুর রশীদের কারাবাসের মেয়াদ বেশি দিন হয়নি। তাই এত তাড়াতাড়ি তাকে জামিন দেওয়া হলে আদালত সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ মনভাব তৈরি হতে পারে। এছাড়া এখন তাকে জামিন দেওয়া হলে মামলার তদন্ত কাজ বাধাগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে।’