জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে ২৩ জানুয়ারি।
এই মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রানা কাউসার।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে রাশেদুল ইসলাম রাজু আপিল করেছিলেন। বাকিরা পলাতক। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামির মধ্যে একজন পলাতক। বাকি পাঁচজন আপিল করেন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংরেজি বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র জুবায়ের ছাত্রলীগের কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন। জুবায়ের নিহত হওয়ার পর ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়কার উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির।
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন নিবন্ধক হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।
২০১২ সালের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা মীর শাহীন শাহ পারভেজ। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান দু’জন।
ওই রায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের আশিকুল ইসলাম আশিক, খান মোহাম্মদ রইছ ও জাহিদ হাসান, দর্শন বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রাজু এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মাহবুব আকরাম।
আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র শফিউল আলম সেতু ও অভিনন্দন কুণ্ডু অভি, দর্শন বিভাগের কামরুজ্জামান সোহাগ ও ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, ইতিহাস বিভাগের মাজহারুল ইসলাম এবং অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব তপু।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে অরূপ পলাতক, বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।