চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জাবিতে পাখি মেলা শুক্রবার

পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছরের মতো এবারো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বসতে যাচ্ছে ‘পাখি মেলা-২০১৯’।

‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ স্লোগানকে ধারণ করে আগামী ১১ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহির রায়হান অডিটরিয়ামের সামনে অনুষ্ঠিত হবে এ পাখি মেলা।

টানা ১৮তম বারের মতো ব্যতিক্রমধর্মী এ মেলার আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।

মেলার সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, আরণ্যক ফাউন্ডেশন, আইইউসিএন এবং বাংলাদেশ বনবিভাগ।

মঙ্গলবার বিকালে মেলার আহ্বায়ক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান চ্যানেল আই অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ‘২০০১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ পাখিমেলার আয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার। এবারো সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১১ জানুয়ারি (শুক্রবার) পাখিমেলার আয়োজন করা হবে।’

‘পাখি সংরক্ষণে সবাইকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যেই এবারো আমরা পাখি মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছি।’

ওইদিন সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এ মেলার উদ্বোধন করবেন।

এছাড়াও মেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন সংরক্ষক জাহেদুল কবির, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিনিধি এনামুল হক এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মুকিত মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন।

এবারের মেলার দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে থাকছে: আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, স্টল সাজানো প্রতিযোগিতা (পাখির আলোকচিত্র ও পত্র-পত্রিকা প্রদর্শনী),

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাখি বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদক উপস্থাপন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা (অডিও-ভিজুয়াল এর মাধ্যমে) এবং উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা। সবশেষে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।

২০০১ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ক্যাম্পাসে প্রতিবছর পাখি মেলার আয়োজন করে আসছে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার।