বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর হামলা এই চক্রান্তের অংশ। কোন তদন্ত না করেই বলা হলো এটি করেছে বিএনপি। অথচ যারা ধরা পড়লো সবাই আওয়ামী লীগের লোক। এটি আওয়ামী লীগেরই কাজ।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে যোগ দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, সরকার আবারও একটি অবৈধ নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। কিন্তু তা ব্যর্থ হবে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন নয়।
এ সময় নির্বাচনের জন্য মির্জা ফখরুল কয়েকটি শর্তের কথা বলেন, এর মধ্যে রয়েছে সকল মামলা প্রত্যাহার, খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিতে হবে, সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ আন্দোলন শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন নয়, গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলন, দেশের মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন। আমরা তাই আহ্বান জানাই, আসুন ঐক্যবদ্ধ হোন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশকে রক্ষা করুন।
এসময় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের নথি চেয়েছে। আজ ১০ দিনের ওপরে হয়ে গেছে। তিন মাইল পথ অতিক্রম করা গেল না!’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেই নির্বাচন করা হবে। খালেদা জিয়া, ২০ দল, বিএনপি ছাড়া কোন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে কোন নির্বাচনের স্বপ্ন পূরণ হবে না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্যে রাখেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান সহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।