জাপানের সম্রাট আকিহিতোর স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অসুস্থতার কারণে নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না জানিয়েই নিজের ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছেন ৮৫ বছর বয়সী আকিহিতো।
২শ’ বছরেরও বেশি সময় পর আইনী অনুমতি সাপেক্ষেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলেন জাপানের সম্রাট। ইমপিরিয়াল প্যালেসে এরইমধ্যে রীতি অনুযায়ী ক্ষমতা ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব রীতিনীতি শেষ হওয়ার একদিন পরই দেশটির পরবর্তী সম্রাটের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ক্রাউন প্রিন্স ও আকিহিতোর ছেলে নারুহিতো।
জাপানে সম্রাটকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। রাজনৈতিক ক্ষমতায় কোন কাজ করেন না সম্রাট। জাপানে যেকোনো দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং সার্বিক কর্মকাণ্ডের জন্য আকিহিতো দেশবাসীর কাছে খুব জনপ্রিয়।
ক্ষমতা ছাড়ার প্রথম দিনের ব্যক্তিগত আয়োজনে আকিহিতো জাপানী সম্রাট পরিবারের পৌরাণিক পূর্বপুরুষদের কাছে নিজের পদত্যাগের তথ্য জানান।
আকিহিতো ২০১৬ সালে বলেন, তিনি ভয় পাচ্ছেন তার বয়স দায়িত্ব পালন করা কঠিন করে তুলবে। তখনই পদত্যাগের আভাস দিয়েছিলেন তিনি।
মতামত জরিপ বলছে দেশটির জনগণের বড় অংশ সম্রাটের পদত্যাগের খবরে সহমর্মী। এর এক বছর পরই সংসদ একটি আইন পাশ করে যেটা তার পদত্যাগকে সম্ভব করে।