স্বাধীনতার ৪৭ বছরে এসে ২৫ মার্চ দিনটিকে দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করতে যাচ্ছে। এর মধ্যেই তৎপরতা চালানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের।
গত ১৫ই মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে সরকারের শরীক দল জাসদের শিরীন আখতারের উত্থাপিত এক প্রস্তাবে বলা হয়: সংসদের অভিমত এই যে, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রিতে বর্বর পাকিস্থানি সেনাবহিনী কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫শে মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা করা হোক৷ আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হোক৷’
এসময় জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে প্রস্তাবটি জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। এরপর থেকেই চলছে কূটনৈতিক তৎপরতা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন,‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। এজন্য আমাদের বিভিন্ন মিশন কাজ করছে। হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল এবং জাতিসংঘের সঙ্গে ‘করণীয়’ নিয়ে কাজ করছি৷’
আওয়ামী লীগ আলাদা ভাবে কিছু করছে কিনা চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দলটির অন্যতম মুখপাত্র মাহবুব উল আলম হানিফ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘২৫ মার্চ দিনটিকে আমরা আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে
পালনে আমরা দাবি করে আসছি। আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, এক লাখ লোকের গণহত্যাও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু, আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হলো, কিন্তু আন্তর্জাতিক স্বীকৃ্িত পেলো না!
এটা পেছনে অবশ্য কারণও আছে। আপনি ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অবস্থা চিন্তা করলে দেখবেন, আমাদের পক্ষে যারা ছিলো-তাদের তুলনায় বিপক্ষে যারা ছিলো তারা অনেক শক্তিশালী। বিশ্বের নীতি নির্ধারকও ছিলো তারা। তাদের কারণেই হয়তো তখন স্বীকৃতি আদায় করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন সরকারের পক্ষ থেকে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো হবে।’
তবে, এখন পর্যন্ত দিনটিকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচি না থাকলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে দলের পক্ষ থেকে কর্মসূচি জানানো হবে বলে জানান হানিফ।
২৫ মার্চ মধ্যরাতে অপারেশন সার্চলাইট’-এর নামে বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।৯ মাসে তারা ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করে৷