সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।
সোমবার বেলা ১১টা ১০মিনিটে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন সরদারসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তখন বিউগলে করুণ সুর বেজে উঠে। পরে নেপালের প্রেসিডেন্ট স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি পদ্ম ফুলের চারা রোপণ করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে তিনি ঢাকার উদ্দেশে স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করেন।
নেপালের রাষ্ট্রপতির আগমনকে কেন্দ্র করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশেপাশের এলাকায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সরকারী সফরে ঢাকায় আসেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। সেসময় তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
ঢাকায় নেপালী প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম সফর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যে কয়জন বিশ্বনেতা যোগ দিয়েছেন তিনি তাদের মধ্যে তৃতীয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে নেপালী প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান।
সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অনুষ্ঠানে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন।
নেপালের প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন তার কন্যা ঊষা কিরণ ভান্ডারি, পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি এবং নেপাল সরকারের সংশ্লিষ্ট সচিব ও সিনিয়র কর্মকর্তাগণ।
বিকেলে তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে নেপালী প্রেসিডেন্ট সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিবৃতি প্রদান করবেন।
প্রেসিডেন্ট ভান্ডারি বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।
সন্ধ্যায় তিনি সেখানে পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর এবং সাস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ শেষে নৈশভোজে অংশ নেবেন।