সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে ভুগছেন তাসকিন আহমেদ। যে কারণে ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় লিগে তার খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অনেকদিন পর সম্প্রতি জাতীয় দলে ফিরেছিলেন তাসকিন। ফিরতে না ফিরতেই তাকে চলে যেতে হচ্ছে মাঠের বাইরে। একের পর এক চোটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটেও অংশগ্রহণ কমে যাচ্ছে এ পেসারের।
ইনজুরি কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তাসকিনের। চোট প্রবণতা এতটাই বেড়েছে যে, বছরের বেশিরভাগ সময় কাটাতে হচ্ছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে। সাইড স্ট্রেইনের চোটে পড়ার পর তিন সপ্তাহ বিশ্রামে কাটিয়ে রোববার থেকে অবশ্য শুরু করেছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তবে এবার মাঠে ফিরতে লেগে যেতে পারে লম্বা সময়।
বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, একইস্থানে এই নিয়ে তৃতীয়বার চোট পাওয়ায় নিতে হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা।
‘তাসকিনের ব্যাপারে আমরা খুব ধীরে আগাচ্ছি। কারণ তৃতীয়বার একই ধরণের ইনজুরিতে ভুগছে সে। ওকে বোলিং লোড দেয়া শুরু হয়নি। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকে অল্পমাত্রায় কম ইনটেনসিটিতে বোলিং করতে অনুমতি দেব। তাসকিনের ফিরে (মাঠে) আসার ব্যাপারটা একটু সময় নেবে।’
‘আমরা বারবার বলছি এটা রি-কারেন্ট ইনজুরি। আবার যদি ইনজুরিতে পড়ে তাহলে রিকভারির সময়টা অনেক দীর্ঘ হবে। যে কারণে আমরা চাইছি ধীরে ধীরে ওর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় পরের সপ্তাহ থেকে তাসকিন অল্প শক্তি প্রয়োগ করে বল করবে।’
ফেব্রুয়ারির বিপিএল থেকে সেপ্টেম্বরে আফগান সিরিজ। সাত মাসে একে একে হাঁটু, পিঠ, তালুর ইনজুরির ধকল সামলে আসা তাসকিন ভুগছেন ঝুঁকিপূর্ণ সাইড স্ট্রেইনের ইনজুরিতে। যে কারণে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের দলে ছিলেন না ২৪ বছর বয়সী এ পেসার।
আর দলে থেকেও আফগানদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারেননি একাদশে কোনো পেসার না থাকায়। মাঝে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলার সুযোগটাও হারিয়েছেন ইনজুরির কারণে।