একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানকে সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্ত সংস্থা। অপরাধ স্বীকার না করলেও শান্তি কমিটির ময়মনসিংহের সেক্রেটারি হিসেবে তিনি দায় এড়াতে পারেন না বলে মনে করে তদন্ত সংস্থা।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান, উনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। তৎকালীন দখলদার বাহিনীর যে নির্বাচন করেছিলো সেটার এমএলও ছিলেন। কিছু কিছু অপরাধের কথা উনি জানতেন। এই জন্য ওনার দায়-দায়িত্ব উনি এড়াইতে পারবেন না। যেহেতু উনি জানছেন এটা অন্যায় হয়েছে। হয়তো উনি ব্যবস্থা নেন নাই।
মামলাটিরর সুষ্ঠু তদন্তের পর ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক। তিনি আরো বলেন, একটু সময় লাগবে। তাদেরকে একদিন একদিন করে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
একই অভিযোগে গ্রেফতার হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ, সহযোগী ডাক্তার শাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু এবং হরমুজ আলীকেও সেইফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
এর আগে, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি এম এ হান্নানকে গত ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।