ঘরোয়া ক্রিকেটের ‘রানমেশিন’ তুষার ইমরানকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো একজনই আছেন, তিনি নাঈম ইসলাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তুষারের সেঞ্চুরি ২৮টি। নাঈমের ২৩টি। সেঞ্চুরিকে ডালভাত বানিয়ে দুই ব্যাটসম্যানই স্বপ্ন দেখছেন আবারও বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার। নাঈমের জাতীয় দলে ফেরার পালে হাওয়া দিচ্ছে ‘এ’ দলে ডাক পাওয়ার খবর।
‘এ’ দল ঘোষণা না হলেও আগেভাগেই সম্ভাব্য কয়েকজন ক্রিকেটারকে অনুশীলন শুরু করে দিতে বলেছেন নির্বাচকরা। তাদেরই একজন নাঈম। রোববার মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ৩১ বছর বয়সী এ ব্যাটিং-অলরাউন্ডার জানালেন জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্নের কথা।
‘এখনও আমি চিন্তা করি বাংলাদেশের হয়ে ৪-৫ বছর খেলার মতো সক্ষমতা আছে। আর জাতীয় দলে ফেরার এটাই সঠিক সময়।’
নাঈম লাল-সবুজের জার্সিতে সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৪ সালে। সবশেষ টেস্ট ২০১২, আর টি-টুয়েন্টি ২০১৩ সালে। পরে বেশ লম্বা সময় নির্বাচকদের রাডারে ছিলেন না নাঈম। এবার যখন ‘এ’ দলের হয়ে সুযোগ পেতে যাচ্ছেন, তখন স্বপ্নটাও বড় করছেন।
চলতি মাসের শেষদিকে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। দুটি চারদিনের ম্যাচের সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। নাঈমের লক্ষ্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মতো এখানেও সন্তোষজনক পারফরম্যান্স করা।
‘জাতীয় দলে ফেরার জন্য ‘এ’ টিম খুব ভালো প্ল্যাটফর্ম। আমি এখানে যদি ভালো করতে পারি, সুযোগ আসবে কি আসবে না সেটা পরের কথা। এখানে পারফর্ম করলে নিজের ভেতর ভালো লাগবে।’
‘সামনে অনেক খেলা আছে (‘এ’ টিমের)। শ্রীলঙ্কা আসবে। তারপর আয়ারল্যান্ড যাবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসবে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করার। সুযোগ পেলে ওখানে যেন ভালো করতে পারি।’
নাঈমের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
টেস্ট: আট ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে ৩২ গড়ে করেছেন ৪১৬ রান। বল হাতে এ অফস্পিনার পেয়েছেন মাত্র একটি উইকেট।
ওয়ানডে: ৫৯টি ওয়ানডে খেলে পাঁচ ফিফটিতে করেছেন ৯৭৫ রান। গড় ২৭.০৮। উইকেট নিয়েছেন ৩৫টি।
টি-টুয়েন্টি: ১০ ম্যাচে ১৩০ রান। সর্বোচ্চ ইনিংস ২৮। গড় ১৪.৪৪। বল হাতে উইকেট তিনটি।