বিপিএলে নৈপুণ্যের পুরস্কার হাতেনাতেই পেলেন মোহাম্মদ আমির। স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হওয়ার পর দেশের মাটিতে খেললেও বিপিএলই ছিলো এই পেসারের মূল চ্যালেঞ্জ। ১৪ উইকেট নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বলা যায় পাকিস্তানি পেসার। এর আগে দেশের মাটিতে কায়েদে আজম ট্রফিতে ৩৪ উইকেটের পাশপাশি দুটি অর্ধশতকও করেন আমির।
এতেই জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তির প্রাথমিক অনুমোদন পেয়ে গেলেন ২৩ বছর বয়সী এ পেসার। শুক্রবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘোষিত ২৬ জনের ফিটনেস ক্যাম্পে ঠাঁই হয়েছে তার। আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-২০ সিরিজে এখান থেকেই বেছে নেওয়া হবে পাকিস্তান দল।
এছাড়াও টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ১৫ জানুয়ারি নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সিরিজেও ডাক পাবেন এই ক্যাম্পের খেলোয়াড়েরা। ওই সফরে তিনটি করে টি-২০ ও ওয়ানডে খেলবে পাকিস্তান।
পাকিস্তান জাতীয় দলের নির্বাচকদের তৈরি ২৬ জনের এই প্রাথমিক দলকে এরইমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের ‘এ’ দলে অন্তর্ভুক্তির দাঁড়প্রান্তে রয়েছেন ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই পেসার প্রতিভা’।
পিসিবি জানিয়েছে, ‘ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানো। পাশাপাশি আসন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য খেলোয়াড়দের কৌশলগত বিষয়াদির প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করাও ক্যাম্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।’
প্রাথমিকভাবে ফিটনেস ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার পর নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন বলে জানিয়েছেন আমির। ‘পরিবর্তিত মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রমাণে সবকিছুই করবেন’ বলে জানিয়েছেন আমির। তিনি বলেন, ‘কথা দিচ্ছি পাকিস্তানের জার্সির সম্মান রক্ষায় সব কিছুই করব আমি।’
বিতর্কিত আমিরের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অবশ্য দুধরনের মতই রয়েছে পাকিস্তানে। জাতীয় দলে আমিরের সতীর্থসহ সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন ক্রিকেটার তার সঙ্গে খেলার এবং জাতীয় দলে আসার বিরোধীতা করছেন। তবে পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনিসসহ বেশ কয়েকজন সাবেকের সমর্থনও পাচ্ছেন বাঁহাতি এ পেসার।
আমিরের ভবিষ্যত বিষয়ে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে ওয়াকারের। এতে আমিরকে দ্বিতীয় একটি সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দেন ওয়াকার।