আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী। দ্রোহ, প্রেম ও সাম্যের কবি হিসেবে বাংলা সাহিত্যের অনন্য প্রতিভা নজরুল ইসলামকে অভিহিত করা হয়।
১৮৯৯ সাল, ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এদিনে বর্ধমান জেলার (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে) আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে কাজী পরিবারে নব জাগরণের এ কবির জন্ম।
আজকের দিনটিকে কেন্দ্র করে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে কবিকে সরকারীভাবে স্মরণ করছে।
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ- দুই বাংলাতেই তার কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
কাজী নজরুল ইসলামের রচিত ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধগগনে বাজে মাদল’ বাংলাদেশের রণসংগীত হিসাবে গৃহীত।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৪ সালে তাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে। ১৯৭৬ সালে কবিকে ‘একুশে পদক’ দেওয়া হয়। সেই বছরের ২৯ অগাস্ট মৃত্যুবরণ মানবতা ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম।