জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় পবিত্র ঈদ উল ফিতরের প্রধান জামাতের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র। ডিএমপি কমিশনার জানিয়েছেন, সুস্পষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও তারা সতর্ক আছেন, যাতে মুসল্লিরা নির্বিগ্নে ঈদের জামাত আদায় করতে পারেন। সেজন্য নেওয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
চাঁদ দেখা গেলে বৃহস্পতিবার ঈদ উল ফিতরের প্রধান জামাত হবে সুপ্রিম কোর্টের এলাকায় অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে সাধারণ মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় সামিয়ানার সাথে দেওয়া হয়েছে বৃষ্টি প্রতিরোধক ত্রিপল। দুপুরে ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তায় সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন সবাইকে নিয়ে এখানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সকালে পুলিশের মহড়া দেখেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। পরে তিনি ময়দান ঘুরে দেখেন। তিনি জানান মুসল্লিদের ৬টি চেক পোস্ট দিয়ে তল্লাশি শেষে ময়দানে আসতে হবে। ঈদের দিনে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার কথাও জানান তিনি।
তিনি বলেন, জায়নামাজ সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারবে, তবে কোনো ধরনের ব্যাগ আনতে আমরা নিষেধ করছি। মসজিদের ভেতরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সুস্পষ্ট কোনো হুমকি নেই কিন্তু আমরা সতর্ক রয়েছি। নানান ধরনের কথাবার্তা আসে, আমরা সেগুলো যেমন উপেক্ষা করিনা তেমন সেসবকে সত্য বলেও ধরে নিই না। সামাজিক মাধ্যম মনিটরিংয়ের জন্য আমাদের নির্দিষ্ট সেল রয়েছে। নিয়মিতই সেসব মনিটরিং করছি, সেসব যাচাই করে দেখা হচ্ছে। আমরা সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছি, বাড়তি নিরাপত্তা নিয়েছি। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা আমাদের সর্ব শক্তি দিয়ে জনগণের নিরাপত্তা দিতে চাই।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর উদ্যোগে ঈদগাহ ময়দানের প্রবেশ পথে স্থাপন করা হয়েছে সুদৃশ্য ডিজিটাল বোর্ড। আবহাওয়া খারাপ থাকলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের জামাত হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায়। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর সড়কে টানানো হয়েছে নানা রঙের ঈদ মোবারক লেখা ব্যানার।