রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সামরিক অভিযানের সময় মিয়ানমার জাতিসংঘ শিশু অধিকার কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করেছে শিশু অধিকার রক্ষা বিষয়ক সংগঠন সেভ দ্য চিলড্রেন।
সংগঠনটির নরওয়ে শাখার আইন বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে তদন্ত শেষে রোহিঙ্গা শিশুদের নির্বিচার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছাড়াও নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিভিন্ন আলামতের তথ্য-প্রমাণ তুলে এনেছেন তাদের প্রতিবেদনে।
সেভ দ্য চিলড্রেন এ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করেছে। সেসব গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিয়ানমার জাতিসংঘ শিশু অধিকার কনভেনশনের কমপক্ষে সাতটি মূল ধারা লঙ্ঘন করেছে বলেও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৭ সালের আগস্টে পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনায় মিয়ানমার সরকারের প্রতিক্রিয়া, এবং পাশাপাশি দেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে চলমান বৈষম্য জাতিসংঘ শিশু অধিকার কনভেনশনের অন্তত সাতটি মৌলিক ধারা লঙ্ঘন করেছে।’
বাংলাদেশের সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বর্মি সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের মুখে মিয়ানমার থেকে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেকই শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এ ঘটনায় মিয়ানমার সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী উভয়কেই দোষী বলে সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকার সামরিক অভিযানের সহায়তায় ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ নিয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যা-নির্যাতন নিয়ন্ত্রণ করতে বা নিন্দা জানাতে মিয়ানমার সরকার ন্যূনতম কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি আগামী সপ্তাহে প্রকাশের কথা রয়েছে।