সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শতাধিক বাঙালি শিশু অংশ নেয়। পুরো মিশন এক শিশুমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতার জীবনাদর্শ তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশিত হয়।
জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৩ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের বিভিন্ন দিক ফুটিয়ে তোলা হয় অনুষ্ঠানে।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম -এর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
এ উপলক্ষ্যে শিশুদের এক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় প্রবাসী বাঙালি ও মিশনের অফিসিয়ালদের ৪৬ জন সন্তান অংশগ্রহণ করে। ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের মোট ৬ জন প্রতিযোগী বিজয়ী হয়। ‘ক’ গ্রুপে ৬ষ্ঠ গ্রেডের ছাত্র মোহাম্মদ আরাফাত-উল-আলম এবং ‘খ’ গ্রুপে ৮ম গ্রেডের ছাত্রী নাদিয়া তামরীন প্রথম স্থান অধিকার করে। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে “বঙ্গবন্ধু ক্রেস্ট” প্রদান করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনার সূত্রপাত করে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতাকে বছরের প্রতিটি দিনই স্মরণ করতে হবে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। এজন্য সারাবছরই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য তিনি প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানান।
বীপার শিশুশিল্পীরা সঙ্গীত ও “জয় বাংলা, বাংলার জয়” গীতি আলেখ্য পরিবেশন করেন। আনন্দ ধ্বনি এবং বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতায়নের শিশুশিল্পীরা বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম নিয়ে কবিতা আবৃতি, সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী, নিউইয়র্কের বিশিষ্ট নাগরিকসহ প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।