ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-আইইবি’র কৃষিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘স্কোপ অব ডিজিটালাইজেশন অব ইরিগ্রেশন ডেভালপমেন্ট এন্ড মেনেজমেন্ট প্রাকটিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দেশের সেচ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আধুনিকায়নে গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার বিকালে আইইবি’র ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক বলেন, অপরিকল্পিত প্রজেক্ট এবং অপরিকল্পিত নগরায়ন বাস্তবায়নের ফলে বার্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বর্ষার পানি ধরে রাখতে নদী ও জলধারা খনন করবে সরকার। এ জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন নদী খনন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের এই অল্প ভূমির মধ্যেই খাদ্য উৎপাদন করছি। বিদেশেও অল্প পরিমানে রপ্তানি করছি। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেক অবদান রাখছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে কিভাবে অল্প জমির মধ্যে বেশি ফসল ফলানো যায়। আমাদের সম্পদ ভূমি এবং পানিকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে বেশি করে ফসল উৎপাদন করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।
প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের মেধার সঙ্গে দেশ প্রেম যোগ করে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পেছনে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং প্রকৌশলীদের অনেক অবদান রয়েছে।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সর্বত্র বিপ্লব ঘটছে। এখন দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই। সাড়ে ৭ কোটি মানুষের সময় খাদ্য সংকট থাকলেও ১৬ কোটি মানুষের দেশে আজ কোনো খাদ্য সংকট নেই। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে সেচব্যবস্থাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. প্রকৌশলী আইনুন নিশাত।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, আইইবির কৃষিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম মিয়া এবং আইডব্লিউএম-এর উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. প্রকৌশলী এ.এফ.এম. আফজাল হোসেন, পিইঞ্জ.।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইইবি’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট (প্রশাসন ও অর্থ) প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান।