বাংলাদেশে বিদেশীদের চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা আছে বলে মনে করছেন না ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির চেয়ে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদব্যক্ত করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স।
অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিমের না আসা এবং জাপানী ও ইটালির নাগরিক হত্যার পর নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে নানা আলোচনা হয় সেমিনারে। তবে নিরাপত্তা বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্সের।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সোফি অ্যবর্ট বলেন, বিদেশী হত্যা ঘটনার পর সরকারের ইতিবাচক ভূমিকায় বর্তমানে দেশের অবস্থা ভালো রয়েছে। তাই বাংলাদেশে বিদেশীদের চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা নেই বলে আমি মনে করি।
তবে বাংলাদেশে নিরাপত্তা ঝুঁকির চেয়ে বিশ্ববাসীর কাছে অনেক বেশী গুরত্বপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মোকাবেলা। প্যারিসের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে আইনী কাঠামোর চুক্তি পাস করতে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ও ফ্রান্স পাশে চায় বাংলাদেশকে ।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ডক্টর আইনুন নিশাত বলেন, আইনগত বাধ্যতা মূলকভাবে জলবায়ু ঝুঁকির পরির্বতনে সব দেশকে কাজ করতে হবে নয়তবা সব দেশে জলবায়ু ঝুঁকি থেকেই যাবে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেছেন, যেসব দেশে জলবায়ু ঝুঁকির অবস্থায় রয়েছে তাদের যদি পরিবেশের উন্নতি না হয়, পাশাপাশি আর্থিক ও সামাজিক উন্নতি না হয় তাহলে জলবায়ু ঝুঁকি নিয়ে যতই কথা বলি না কোনো আমরা সেই জায়গায় কখনো পৌঁছাতে পারবো না।
পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মনে করেন, বিশ্বের জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে হলে জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে উন্নত দেশগুলোর এগিতে আসতে হবে তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
ইউরোপিয় ইউনিয়ন, ব্র্যাক ও সি ত্রি ই আর- এর যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারে জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে পারস্পারিক সহযোগিতা জোরদারের আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।