চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জরুরি অবস্থা ঘোষণায় কলম্বোর নিরাপত্তা জোরদার

শ্রীলঙ্কায় অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার প্রথম দিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

শনিবার কলম্বোতে স্বল্প সংখ্যক দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে শহরজুড়ে।

বিবিসি জানায়, শুক্রবার একটি আদেশে দেশটির রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে কঠোর আইনের আহ্বান জানিয়ে সামরিক বাহিনীকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার এবং আটক করার অনুমতি দিয়েছেন।

জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতির কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার শত শত বিক্ষোভকারী রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আহ্বান জানিয়ে বেশ কয়েকটি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেয়।

শুক্রবার রাজাপাকসের কার্যালয় জানায়, বিক্ষোভকারীরা আরেকটি ‘আরব বসন্ত’ তৈরি করতে চেয়েছিল।

বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরপর শুক্রবার কলম্বো এবং এর আশেপাশে কারফিউ জারি করা হয়।

জরুরী অবস্থার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শ্রীলঙ্কায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চুং বলেছেন: শ্রীলঙ্কানদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের জন্য এটা অপরিহার্য।

তিনি টুইট বার্তায় জানান, আমি পরিস্থিতিটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, এবং আশা করছি আগামী দিনগুলি সব দিক থেকে সংযম নিয়ে আসবে, সেইসাথে যারা ভুক্তভোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং স্বস্তি নিয়ে আসবে।

২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দ্বীপের দেশটি দিনে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের সাথে লড়াই করতে হচ্ছে এর জনগণকে। চলমান সঙ্কট ধারাবাহিকভাবে সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফলাফল বলা হচ্ছে। এছাড়াও কোভিড -১৯ মহামারী দ্বারা পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে, এর মাধ্যমে পর্যটন এবং রেমিটেন্স খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির সরকার জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে একটি ‘বেলআউট’র আবেদন করবে। ভারত ও চীন থেকে নতুন ঋণও চাইছে শ্রীলঙ্কা।

শুক্রবার প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারী তথ্যে দেখা গেছে, মার্চ মাসে কলম্বোতে মুদ্রাস্ফীতি ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। খাদ্যের দাম রেকর্ড ৩০ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।

২২ মিলিয়ন লোকের দেশটি স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ মন্দা সময় অতিক্রম করছে। এমনকি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য বা সেবা আমদানির জন্যও বৈদেশিক মুদ্রার তীব্র অভাববোধ করছে দেশটি।