জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের জন্য আজ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কারণ, আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে গণভবনে সংলাপে যাচ্ছেন তারা।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য দিনটি আরও গুরুত্ববহ; কারণ আজ তার জন্মদিন। জন্মদিনের মতো বিশেষ একটি দিনের পুরোটাই তার কাটবে সংলাপের আগের দারুণ ব্যস্ততা ও প্রস্তুতিতে। আর সন্ধ্যা কাটবে গণভবনে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে।
সংলাপের এমন মুহূর্তে জন্মদিন কিভাবে কাটবে? এ প্রশ্নের জবাবে মাহমুদুর রহমান মান্না চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘আজ আমার সার্টিফিকেট বার্থডে। এটি আমি পালন করিনি কোনো সময়, এখনও করি না। আমার কোনো অনুভূতিও নাই৷ যদি জন্মদিন হতো তাও কোনো অনুভূতি থাকতো না বলে আমার মনে হয়। কারণ, প্রতিদিনই তো কতো মানুষ জন্ম নিচ্ছে তাতে কী আসে যায়! জন্মদিন ঘটা করে পালন করতে হবে এরকম কোনো ব্যাপার না।’
তিনি বলেন: ‘তবে আজকে সংলাপ আছে৷ সারাদিন এই বিষয়ে ব্যস্ত থাকবো। কিছু ব্যস্ততা আছে আরও৷ এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির একটি কর্মসূচি আছে সেখানে যাবো। তাদেরকে সংহতি জানাবো। এই তো, এভাবে কাটবে দিনটি৷ এর চেয়ে বিশেষ কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবারের সংলাপের মধ্য দিয়ে মান্নার এবারের জন্মদিন কেমন কাটে সেটা এখন দেখার বিষয়। তবে এর আগে অবশ্য সংলাপের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সুর মিলিয়ে মান্না বলেছেন: ‘বেগম খালেদা জিয়ার দু’দিনে দু’টি মামলার রায়ে সাজা হওয়া দুঃখজনক। এর ফলে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। আমরা গণতন্ত্রের মুক্তি, নির্দলীয় সরকার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি সহ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করছি। কাজেই বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ায় সংলাপ ফলপ্রসূ হওয়া নিয়ে যেখানে বিএনপি মহাসচিব সংশয় প্রকাশ করেছেন, সেখানে আমি কীভাবে আশা ব্যক্ত করতে পারি? রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ সংলাপ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।’
মান্না বলেন: ‘প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আমন্ত্রণপত্রে সংবিধানসম্মত বিষয়ে সংলাপের কথা বলেছেন। এটি স্পষ্ট নয়। খোলা মন নিয়ে সংলাপে বসলে সংলাপ ফলপ্রসূ হওয়া নিয়ে আশাবাদী হতে পারি। কিন্তু তাদের মন যে খোলা আছে তা বুঝতে পারছি না।’
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আলোচিত এই সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ড. কামাল হোসেন ও মাহমুদুর রহমান মান্না ছাড়াও থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ. স. ম. আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস. এম. আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, আ. ব. ম. মোস্তফা আমিন এবং গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী।