হলিউডে জনপ্রিয়তা পেতে একজন তারকাকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়। একবার পাকাপোক্ত হতে পারলে খ্যাতি, সম্পদ, কাজের কোনো অভাব হয় না। কিন্তু গ্ল্যামারাস এই জীবনের মাঝপথে ক্যারিয়ার ত্যাগ করেছেন হলিউডের অনেক তারকা। সফলতা পেয়েও লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জীবন ভালো লাগেনি তাদের। তেমনই কয়েকজন হলিউড তারকাকে নিয়ে এই ফিচার:
ক্যামেরন ডিয়াজ: জিম ক্যারির বিপরীতে ১৯৯৪ সালে ‘দ্য মাস্ক’ ছবিতে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন ক্যামেরন ডিয়াজ। ‘দেয়ার’স সামথিং অ্যাবাউট ম্যারি’, ‘চার্লি’স অ্যাঞ্জেলস’ ও ‘শ্রেক’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় ভক্তদের মন ছুঁয়েছে। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে তাকে বড় পর্দায় সর্বশেষ হাজির হতে দেখা যায় ২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অ্যানি’ চলচ্চিত্রে। এরপর অভিনয় জগতকে বিদায় দিয়েছেন তিনি।
ড্যানিয়েল ডে-লুইস: সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে তিনবার অস্কার জিতেছেন ড্যানিয়েল ডে-লুইস। রানী এলিজাবেথের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন নাইটহুড। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তাকে সর্বশেষ ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্যান্টম থ্রেড’-এ।
জেনে হ্যাকম্যান: প্রায় ছয় দশকের অভিনয় জীবনে দুটি অস্কার, চারটি গোল্ডেন গ্লোব, দুটি বাফটা এবং একটি স্ক্রিন অ্যাকটরস গিল্ড পুরস্কার জিতেছেন জেনে হ্যাকম্যান। প্রশংসিত হয়েছেন দর্শক-সমালোচক মহলে। উপহার দিয়েছেন একাধিক জনপ্রিয় সিনেমা। ২০০৪ সালে অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন তিনি।
গিনেথ প্যালট্রো: তিন দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ার। অভিনয় শুরুর পর মাত্র ২৬ বছর বয়সে জিতেছিলেন অস্কার। এ ছাড়া সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ঝুলিতে আছে গোল্ডেন গ্লোব ও এমি অ্যাওয়ার্ডস। নিজের ব্যবসা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটানো প্যালট্রো জানিয়ে দিয়েছেন তার অভিনয়ে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
মেগান মার্কেল: প্রিন্স হ্যারিকে বিয়ের আগে মেগান মার্কের ক্যারিয়ার ছিল তাক লাগানো। সিনেমা, সিরিজ সবখানেই ছিল তার উজ্জ্বল উপস্থিতি। বিয়ের পরে অভিনয় ছেড়েছেন মেগান। বর্তমানে প্রোডাকশন কোম্পানি শুরু করার কাজ করছেন তিনি।
শার্লি টেম্পল: কমবয়সেই খ্যাতি অর্জন করা সোজা কথা নয়। বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীতে। শার্লি টেম্পল ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত শিশুশিল্পী হিসেবে হলিউডের শীর্ষ বক্স অফিস তারকা ছিলেন। মাত্র ৭ বছর বয়সে তিনি বিশেষ অস্কার জিতেছেন। এত জনপ্রিয়তা পেয়েও হলিউড ক্যারিয়ার ছেড়েছেন এই শিল্পী।