সিলেটে শিশু রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রধান আসামী কামরুল ইসলামসহ ১১ আসামীকে রোববার সকালে কঠোর নিরাপত্তায় সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় আদালত প্রাঙ্গণে এসেই বিক্ষুব্ধ জনতার রোষের মুখে পড়েন কামরুল।
সেসময় উপস্থিত জনতা তাকে জুতা প্রদর্শন করে। কেউ কেউ কামরুলকে লক্ষ্য করে জুতাও ছুঁড়ে মারেন। এসময় শত শত মানুষ তার ফাঁসি দাবিতে স্লোগানও দিতে থাকে।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাওয়ে নির্মম নির্যাতনে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে। এর পরপরই সৌদি আরবে পালিয়ে যায় প্রধান আসামী কামরুল। বৃহস্পতিবার তাকে দেশে ফেরত আনা হয়।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা’র আদালতে ধার্য তারিখে এ সাক্ষ্য দিয়েছেন আলোচিত এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর সুরঞ্জিত তালুকদার। এর আগে এই মামলায় ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
রাজন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিদ আলম, আলী হায়দার, শামীম আহমদ (পলাতক), তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, ময়না চৌকিদার, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানার পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ভিডিওচিত্র ধারণকারী নুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ, জাকির ওরফে পাভেল ওরফে রাজু (পলাতক) ও আয়াজ আলী।