জনগণের পুলিশ হিসেবে সেবা দিতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনগণের মনে পুলিশের প্রতি যে আস্থা তৈরি হয়েছে, তা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে।
‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ প্রতিপাদ্যে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ছয় দিনব্যাপী (৩-৮ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ ২০২৩। পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। তিনি পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন বর্ণিল প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, মাদক চোরাচালান ও হিউম্যান ট্রাফিকিং রোধে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। জানমালের নিরাপত্তার নিজের জীবন-বিপন্ন করতেও পিছপা হয় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তাণ্ডব-অগ্নিসন্ত্রাসের ফলে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের মতো মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল। ৫০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করে অগ্নি সন্ত্রাসের কারণে, যেখানে ২৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয় দগ্ধ হয়ে, আহত হয় আরও অনেকে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবিররা যেভাবে হত্যা করেছে প্রকাশ্যে দিবালোকে, এভাবে পুলিশের গায়ে কখনো কেউ হাত দেয়! তা কখনো দেখা যায় না। যদিও তা বাংলাদেশে ঘটেছে। এছাড়া সাড়ে ৩ হাজার বাস-ট্রাক, ১৯টি ট্রেন, ১১টি লঞ্চ পুড়িয়ে ধ্বংস করে। ৭০টি সরকারি ও ৬ ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়। সে সময় পুলিশের সদস্যরা জীবন বাজি রেখে এই রকম ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে রুখে দিয়ে জনগণের নিরাপত্তা দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য হলো, অনেক পুলিশ সদস্য আগুনে দগ্ধ হয়ে বেঁচে আছেন, কিন্তু কারো চেহারা এতো বিকৃত হয়েছে যে তারা মানুষের সামনে যেতে পারেন না। বাংলাদেশে এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা যেন আর না ঘটে।
অনুষ্ঠানে ১১৭ জন পুলিশ কর্মকতাকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক বিপিএম ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পিপিএম-এ ভূষিত করা হয়।