জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শীর্ষ জঙ্গিরাও আইনি লড়াই করে জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এরপর তারা নিজেদের সংশোধন না করে আত্মগোপনে গিয়ে আবারও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়েই কথা বলেছেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
চ্যানেল আই অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, জঙ্গিবাদকে ভিন্নভাবে দেখতে আইনজীবীদের অনুরোধ জানিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বলেছেন: টাকা দিলেই জঙ্গিদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ানো যাবে না, জঙ্গিবাদকে আইনী সহায়তা দিলে বিষয়টি হবে আত্মঘাতী।
র্যাব প্রধান আরও জানান: হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫১২ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০০ জন জামিনে আছেন, যাদের অধিকাংশই পলাতক।
র্যাব মহাপরিচালকের এই পরিসংখ্যান খুবই ভয়াবহ বার্তা বলেই আমরা মনে করি। তাই তার অনুরোধ আমলে নিয়ে জঙ্গিবাদকে আইনজীবীদেরও ভিন্নভাবে দেখতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি যাতে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
এ বিষয়ে অবশ্য র্যাব ডিজি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি বলেন: আপনারা যাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন, তাদেরকে আবার কোর্টে হাজির করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু তারা প্রায় সবাই পলাতক রয়েছে।
যেসব জঙ্গিরা পলাতক রয়েছে তাদের পক্ষে আইনি লড়াই করা আইনজীবীদের প্রতি সংশ্লিষ্টদের কঠোর হওয়ার সময় এসেছে বলেই আমরা মনে করি। কারণ, এক্ষেত্রেও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। দেশ ও মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এসব জঙ্গিদের আইনি সহায়তা পাওয়ার কোনো অধিকার নেই বলেই আমরা মনে করি।
র্যাব প্রধানের সঙ্গে একমত পোষণ করে আমরাও বলতে চাই, টাকা দিলেই জঙ্গিদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ানো যাবে না। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অন্য ৮-১০টি অপরাধের মতো জঙ্গিবাদকে দেখা যাবে না, তাহলে বিষয়টি হবে আত্মঘাতী। কারণ, জঙ্গিরা আদালতেও হামলা করেছে, আমরা কেউই আসলে তাদের আওতার বাইরে নই।