১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের একটি ভবন ধসে যে ৪০ জন ছাত্র-কর্মচারী ও অতিথি নিহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নড়াইলের তুষার দাস। সন্তান হারানোর ব্যথায় গোটা পরিবারটি যখন শোকে মুহ্যমান তখন পরিবারটিকে সান্তনা জানাতে তাদের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চ্যানেল আই অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন তুষার দাসের বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার সুপ্রিয়া দাস।
রোববার জগন্নাথ হল ট্রাজেডির ৩২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন: দাদাকে হারানোর শোকে আমাদের গোটা পরিবার যখন অনেকটা ভেঙে পড়েছে, তখন আমাদের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দাদা মারা যাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো সে চিঠি আমাদের পরিবারকে অনেক সাহস যুগিয়েছিল।
সুপ্রিয়া দাস বলেন: শুধু চিঠিই লেখেননি তিনি। তখন পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমাদের পরিবারটিকে দেখা শোনা করার। তাছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকেই আমাদের বাড়ি গিয়েছেন। আমার পরিবারকে সান্তনা দিয়েছেন। আমার দাদা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তারা আমার দাদাকে খুবই পছন্দ করতেন।
তিনি বলেন: সেই চিঠিটি এখন কাছে না থাকলেও তার দুটি লাইন আমার খুবই মনে পড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘‘স্বজন হারানোর ব্যথা কী, তা আমি রন্ধ্রে রন্ধ্রে উপলব্ধি করতে পারি।’’
আমাদের পরিবারকে দেখাশোনার যে কথা বলেছিলেন তারই অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালে আমাকে চাকরি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী স্যার।
১৫ অক্টোবর বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। স্মরণসভা, শোকর্যালী, বিভিন্ন উপাসনামূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সন্তান হারানোর শোকে মুহ্যমান বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার প্রতিবছর দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।