টন্টন থেকে: টিম হোটেল থেকে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা যখন বাইরে নেমে এলেন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি তখন টন্টনে। মেঘলা দিনে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটালেন। বৃষ্টিতে আগের ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি, সামনের ম্যাচে ছোট মাঠের চ্যালেঞ্জ আর কঠিন সমীকরণের নানা দিক নিয়ে কথা বললেন গল্প-আড্ডায়। বোঝা গেল ব্রিস্টলে একটা পয়েন্ট হারানোয় কতটা আক্ষেপে পুড়ছেন অধিনায়ক।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে চাপা কষ্ট আছে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে একটি পয়েন্ট গড়ে দিতে পারে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। মাশরাফী সেটি নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। কঠিন সমীকরণ আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে বৃষ্টিতে। নটিংহ্যামে ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচও পড়েছে বৃষ্টির বাধায়।
সোমবার বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে বৃষ্টি হানা দেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কীভাবে জেতা যায় সেটি নিয়েই চলছে পরিকল্পনা। শুক্রবার থেকে এখানকার সামারসেট কাউন্টি গ্রাউন্ডে চলবে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি।
বাংলাদেশের জন্য একদমই নতুন ভেন্যু টন্টন। আগে কখনও খেলার অভিজ্ঞতা নেই এখানে। বোলারদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে সেটি না বললেও চলে। গেইল, রাসেলদের মতো পাওয়ার হিটার আছে প্রতিপক্ষ দল। ছোট আয়তনের মাঠের সুযোগটা নিতে মুখিয়ে থাকবেন তারা। তাদের সামলানোই হয়ে উঠতে পারে বড় চ্যালেঞ্জ। স্পিনারদের জন্য তো আরও বেশি।
বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ সুনিল যোশি অবশ্য আশাবাদী তার শিষ্যদের নিয়ে। সব বোলারের জন্য চ্যালেঞ্জ দেখছেন তিনি, ‘আমি মনে করি চ্যালেঞ্জ থাকবে সব বোলারের জন্যই। আমাদের স্পিনাররা অনেক ভালো বোলিং করছে চ্যালেঞ্জ ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই।
‘আমার ধারণা স্পিনাররা জানে আমার দিক থেকে তাদের প্রতি কী পরামর্শ থাকবে। দলের গোপনীয়তার কারণেই আমি সেটি আপনাদের বলতে চাইছি না, যে ছোট মাঠে তাদের কীভাবে বোলিং করতে হবে।’