মামলার হাজিরা দিয়ে খাগড়াছড়িতে ফিরে শহরের গোলাবাড়ি এলাকায় নিজ বাসার সামনে ছোট ভাইয়ের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি মিঠুন চাকমা। কিন্তু ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা শেষ না হতেই দু’টি মোটর সাইকেলে করে আসা অস্ত্রধারীরা মিঠুন চাকমাকে তুলে নিয়ে গুলি করে ফেলে যায়।
মিঠুন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর খাগড়াছড়ি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপিডিএফ-এর ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং সিএচটি টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক ছিলেন।
নিহত মিঠুনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়: বুধবার সকালে মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যান মিঠুন চাকমা। আদালত থেকে ফিরে শহরের গোলাবাড়ি এলাকার বাসার সামনে তার ছোট ভাইয়ের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন।
‘এসময় মোটর সাইকেলে করে আসা অস্ত্রধারীরা মিঠুন চাকমাকে তুলে নিয়ে যায়। ভাইকে বাঁচানোর জন্য অস্ত্রধারীদের পিছনে ছুটতে থাকে তার ছোট ভাই। কিন্তু সেসময় তারা মিঠুন চাকমাকে গুলি করে করে ফেলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মিঠুনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এর আগে বুধবার সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে ফেসবুকে সর্বশেষ পোস্ট দেন মিঠুন চাকমা। এর কিছুক্ষণ পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন তিনি। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনায় শহর জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেলা পুলিশের একাধিক সূত্র মিঠুন চাকমাকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে: হত্যাকারী কারা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং খুনিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ জানায়, মিঠুনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলাসহ হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অসংখ্য মামলা রয়েছে।
ইউপিডিএফ কিছুদিন আগে দু’ভাগে বিভক্ত হয়। বিভক্তির পর এ সংগঠনটির কোন নেতাকর্মী প্রথম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন। হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ব্যানারে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।