বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাটি ও মানুষ’র অনুষ্ঠান দেখে অনুপ্রেরণা নিয়ে চারতলা ভবনে ছাদ কৃষি গড়ে তুলেছেন মামুনুর রশীদ। চারতলা ভবনের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলেই বোঝার কোনো উপায় থাকে না যে তা ভবনের ছাদ। গাছপালাপূর্ণ ছায়াঘেরা কোনো বাগান, অসংখ্য ফলের গাছ এখানে।
ছাদকৃষিতে সাফল্য পাওয়া মামুনুর রশীদ এই ভবনটি নির্মাণ হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। তখন থেকেই এ ছাদকে নিয়ে শুরু হয় তার ভালোবাসা। এরপর ২৮ বছরের নিবিড় ভালবাসার ছোয়ায় ২ হাজার বর্গফুটের ছাদটি পরিণত হয় ফলের সাম্রাজ্যে। এরই মধ্য দিয়ে মামুনুর রশীদ নিজেকে তৈরি করেছেন সফল আর আদর্শ এক কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে।
ছাদ কৃষি উদ্যোক্তা মামুনুর রশীদ বলেন, শহরের এমন অনেক ছাদ আছে যেখানে কোনো গাছপালা নেই। ছাদ একদম ফাঁকা রাখেন। আমি চাই প্রত্যেক ছাদে যেন কিছু না কিছু গাছপালা থাকে।
কি ফল নেই মামুনুর রশীদের ছাদে। পেয়ারা, কামরাঙা, বরই, সাতকড়া, তেঁতুল, পান থেকে আখ। রয়েছে বিদেশী বিভিন্ন ফলের গাছও। নেশা যে একসময় পেশার অংশ হয়ে যায় মামুনুর রশীদের এই ছাদ কৃষিই তা বলে দিচ্ছে। এখানে শত রকমের ফলের গাছ।
উৎপাদন হচ্ছে দেশী-বিদেশী ফল। তৈরী হচ্ছে শত শত চারা। যা বাজারজাত করে বছরে আয়ও হচ্ছে ভালো। পরিকল্পিত চেষ্টায় এক চিলতে ছাদও পাল্টে দিতে পারে জীবন। যা হয়ে উঠতে পারে বাণিজ্যের অনন্য উদাহরণ।
ছাদ-কৃষিতে ফলবাগানের এই সমৃদ্ধ আয়োজনের কথা অনেকেরই জানা নেই বলে প্রতিদিন এখানে ছুটে আসেন অনেকেই।
এর মধ্যে নতুন উদ্যোক্তা যেমন আছেন, আছেন ব্যস্ততম এই শহরে মনোরম এক ফল বাগান উপভোগকারীরাও।