ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ফটকের সামনে শনিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
রোববার হলের হাউজ টিউটর এবং সিনিয়র অধ্যাপক ড. তারিক জিয়াউর রহমান সিরাজীকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন ড. মো. আমিনুল হক এবং সহিদ কাজী।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দর পরিবেশ কেউ নষ্ট করুক সেটা আমরা চাই না। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আমরা আজ (রোববার) বিকালে হলের শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি মিটিং করেছি। মিটিংয়ের প্রেক্ষিতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, সূর্যসেন হলের সামনে এক শিক্ষার্থীর গুলি লাগার ঘটনায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গুলির লাগার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি। মামলা হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্যান্টের পকেটে লোড করা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হলের ফটকের কাছে আড্ডা দিচ্ছিলেন মেশকাত। এসময় কয়েকজন বন্ধু তার সাথে ছিলেন। অসাবধানতায় ট্রিগারে হঠাৎ চাপ লেগে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান খান।
গুলিবিদ্ধ মেশকাত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক। সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র এবং দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সবসময় নিজের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখেন মেশকাত। লোড করা পিস্তলেই এদিন গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
২০১৪ সালেও হলের ৫৭২ নম্বর কক্ষ ভেঙে চুরির ঘটনায় তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।