চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে সাবেকদের এতো আগ্রহ কেন?

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন অর্থাৎ নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে সংগঠনটির সাবেকদের বিরাট এক অংশের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। নিজের অনুসারীদের নেতৃত্বে আনতে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও আছে সাবেক কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।  ছাত্রসংগঠনটির সম্মেলন নিয়ে সাবেকদের এমন আগ্রহের কারণ কী?

এ ব্যাপারে সাবেক একাধিক নেতা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা অনেক বড় পদে গেলেও তাদের রাজনীতির হাতেখড়ি আসলে ছাত্রলীগ থেকে। তাই সংগঠনের প্রতি তাদের দরদ একটু বেশিই। তাই স্বাভাবিক কারণেই সংগঠনটির নেতৃত্বে কারা আসবে তা নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ থাকে। কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্রনেতার প্রভাব বিস্তারের কথাও স্বীকার করেন তারা।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আজ আমি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কিন্তু আমার রাজনীতির শুরু হয়েছে ছাত্রলীগের মাধ্যমে। সেই ক্লাস নাইন থেকে শুরু করে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত আমি ছাত্রলীগ করেছি। ছাত্রলীগ হচ্ছে আমার যৌবনের উচ্ছ্বাস। তাই ছাত্রলীগের যে কোনো বিষয়ে আমার আগ্রহ থাকে, নতুন নেতৃত্বে কারা আসবে সে ব্যাপারেও আগ্রহ থাকে। এবং আমি মনে করি, এই একই কারণে সাবেকদের একটা আগ্রহ থাকে ছাত্রলীগকে নিয়ে।

এনামুল হক শামীম

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ছাত্রলীগের সম্মেলন আসলে আমাদের সাবেকদের জন্য একটি মিলনমেলা। এই মিলনমেলার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। তাই এটি বর্তমান-সাবেক সবার জন্যই একটি উৎসব। তাছাড়া সাবেকরা এলে নতুনরা অনুপ্রাণিত হয়, আমরা তাদের রাজনীতিতে উৎসাহী করে তুলতে পারি।

কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে অনুসারীদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা এবং ছাত্রলীগকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগও আছে সাবেক কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এনামুল হক শামীম বলেন, কেউ হয়তো প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে থাকতে পারেন। পত্রিকায় অনেক সময় দেখি ‘সিন্ডিকেট’ লেখা হয়। সে ব্যাপারে আমি আসলে কিছু বলতে চাই না। ‘তবে ছাত্রলীগের সাংবিধানিক নেত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি যেভাবে বলেন, ছাত্রলীগ সেভাবেই চলে এবং তার কথাই শেষ কথা।’

দেলোয়ার হোসেন

দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোনো কোনো নেতা এ ধরণের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতেন। ছাত্রলীগকে সেইসব সাবেকদের হাত থেকে মুক্ত করতেই এবার সংগঠনের কমিটি আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে দিচ্ছেন।

আর আগের কয়েকটি সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সম্মেলনস্থলেই ঘোষণা করা হয়েছিল ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের নাম। কিন্তু গত শুক্র ও শনিবার ২৯তম সম্মেলন শেষ হয়ে গেলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। গত মাসের শেষ সপ্তাহে সংগঠনটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগরের দুই অংশের সম্মেলন হয়ে গেলেও ঘোষণা করা হয়নি কমিটি।

কমিটি ঘোষণার বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে এনামুল হক শামীম এবং দেলোয়ার হোসেন দুজনই বলেন, এ বছর কমিটি প্রধানমন্ত্রী নিজে দেবেন। কিন্তু প্রার্থী অনেক বেশি থাকায় যা যাচাই বাছাই করতে কিছুটা সময় লাগায় কমিটি দিতে দেরি হচ্ছে।