চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত মাহাদি আকিবের মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
আজ দুপুরে ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বসে তার চিকিৎসার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করেন। আহত আকিবের চিকিৎসা বিষয়ে তদারকি করছেন ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ।
এদিকে হামলায় জড়িতদের মেডিকেল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মেডিকেল ছাত্রলীগের একাংশ।
গত শুক্র ও শনিবার দুই দিনে ছাত্রলীগের দু গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে। গতকাল সন্ধ্য ৭টার মধ্যেই শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস ত্যাগ করে চলে যায়। কক্ষগুলো তালা বদ্ধ করে দেয় প্রশাসন। ক্যম্পাসে মোতায়েন রয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ।
ঘটনার প্রতিবাদে এবং হামলায় জড়িতদের মেডিকেল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে আজ বিকেলে ছাত্রলীগের একাংশ মেডিকেলের প্রধান গেইটে সমাবেশ ও মানব বন্ধন করেছে।
হামলার অভিযোগে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান বাদি হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলায় জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, সংঘর্ষে আহত মাহাদি আকিবের মাথায় অস্ত্রোপচার শেষে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আহত আকিবের চিকিৎসা বিষয়ে তদারকি করছেন ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। মেডিকেলে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্তকাজ শুরু করেছে।