ছাত্রলীগের ৭০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনন্দ র্যালির কারণে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার সামনে থেকে দুপুর ১২ টার দিকে ছাত্রলীগের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে র্যালিটি শুরু হয়। এতে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত উক্ত এলাকায় যানবাহন চলাচল স্থবির ছিল।
এর আগে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে র্যালিতে যোগ দিতে নেতা কর্মীরা আসতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও সকাল থেকে বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল।
সরেজমিনে দেখা যায়, শাহবাগ থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত একপাশের রাস্তা বন্ধ এবং অপর পাশে গাড়ির দীর্ঘ লাইন।
দীর্ঘক্ষন জ্যামে বসে থেকে দুর্ভোগে পড়া অনেকে হেঁটেও রওনা দেন।
ট্রাফিকের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মো: শামসুজ্জামান জামান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘প্রায় একঘন্টার মত যানজট ছিল। র্যালি চলাকালে ভিআইপি যাওয়ায় মাঝখানে যানজট আরও প্রকোপ হয়। তবে আমরা মাঝেমাঝে র্যালি থামিয়ে চেষ্টা করেছি জনদুর্ভোগ কমাতে।’
দুর্ভোগে পড়া কয়েকজন যাত্রী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমরা মতিঝিল থেকে আসছি। শাহবাগ পর্যন্ত আসতে আমাদের প্রায় তিন ঘন্টা লাগল।
একজন বাসের চালক জানান, সদরঘাট থেকে শাহবাগ আসতে আমার সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লেগেছে। বেশি সময় লাগার কারণে যাত্রীরাও সবাই নেমে হাঁটা দিয়েছেন।
অপরাজেয় বাংলায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি উদ্বোধন করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিশাল র্যালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, মৎস্যভবন, কাকরাইল, বিজয় স্মরণী পল্টন হয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়।