আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। আনন্দ মিছিল সংসদ ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।
মঙ্গলবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তারা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার যে প্রক্রিয়া এদেশে শুরু হয়েছিল, তার বিপরীতে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শত বাধা-বিপত্তি, চড়াই-উতরাই এবং নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে বাঙালির ভাত ও ভোট এবং অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা অনার্জিত স্বপ্নপূরণ করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছেন তারই যোগ্য উত্তরসূরী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, পচাত্তর পরবর্তী দেশকে ধ্বংসস্তূপ থেকে পুনরুদ্ধারে এবং গণতন্ত্র, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বহু চড়াই-উতরাই, বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা হয়ে দেশে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি সেদিন এসেছিলেন বলেই আজ জাতির পিতার সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাঙালি জাতি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন তিনি। ১৯৬৫ সালে তিনি ম্যাট্রিক এবং ১৯৬৭ সালে বকশীবাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ (বর্তমান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভানেত্রী (ভিপি) পদে নির্বাচিত হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন শেখ হাসিনা।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে কিংবদন্তি নেত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি যিনি বিশ্ব দরবারের সামনে আখ্যায়িত হয়েছেন ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ হিসেবে। তিনিই হলেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্ট্রা জাতির পিতা শেখ মুজিবের সুযোগ্য উত্তরসুরী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের চারবারের সফল প্রধানমন্ত্রী , ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার এবং দেশের সর্ববৃহৎ দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি।