চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ছবিতে অগ্নিকাণ্ডের পরদিনের বসুন্ধরা সিটি

২১ আগস্ট রোববার রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল-৬ এর সি ব্লকের একটি জুতার দোকান থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ।

আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ২৯টি ইউনিট প্রায় দেড়শ সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। সাথে ছিলো বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের নিজস্ব ফায়ার বিগ্রেড।

অগ্নিকাণ্ডের পরের দিনের খণ্ডচিত্র উঠে এসেছে চ্যানেল আই অনলাইনের ক্যামেরায়। 

গতকাল আগুন লাগার পর আজ (সোমবার) মহানগরের এই অভিজাত শপিং কমপ্লেক্সে কর্মব্যস্ততা না থাকলেও কমপ্লেক্সের সামনে ভিড় করেছিলো দোকান মালিক, কর্মচারী, সংবাদকর্মী ও উৎসুক জনতা।

দোকান মালিকরা ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে উৎকন্ঠায়। ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে দোকানে সাজানো হয়েছিলো লাখ লাখ টাকার নতুন পণ্য।

দূরের প্রিয়জনদের উদ্বেগে সাড়া দিতে দেখা গেছে কাউকে কাউকে। ফোনে জানাচ্ছেন- তারা নিশ্চিত না, কতটুকু লোকসান হয়েছে, কতটুকু পুড়েছে ভেতরে!

লেভেল ৬ এর দুইটি দোকান পুড়ে গেছে মামুনুর রহমানের। বিশ লাখ টাকার বিদেশী জুতা তুলেছিলেন দোকানে। এখন সব হারিয়ে দিশেহারা। কী করবেন কুলকিনারা পাচ্ছেন না।

আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের ঢালা পানি পরিষ্কার করছে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। কাজ চলছে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে, মুছে ফেলতে পোড়াদাগ।

আগুন নেভাতে ফায়ার ফাইটারদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম। এখনো জমা করে রাখা হয়েছে কমপ্লেক্সের সামনে।

লেভেল ৬ এর এই দোকানটিও হয়তো পুড়ে গেছে। এখনো রকমারি জুতার ডিজাইনের বিজ্ঞাপন দেয়ালে আটকে আছে।


নিরাপত্তাকর্মীরাও ক্লান্ত। একটু অবসরে সেরে নিচ্ছেন নিজেদের ভেতর আলোচনা।

ব্যস্ত মিডিয়া কর্মীরাও। মুহূর্তের খবর মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তৎপর।

কমপ্লেক্সের সামনে থেমে নেই বেচা-কেনা। ফুচকা, পেয়ারা, আমড়া, ডাব বিক্রি হচ্ছে। প্রতীক্ষারত মানুষ কিনে নিচ্ছে এইসব। এই বৃদ্ধও ডাব বিক্রির হিসাব মিলিয়ে নিচ্ছেন।

সেলফি! হালের ট্রেন্ড। নিজের উপস্থিতি স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার মাঝেই তৃপ্তি খোঁজে কেউ কেউ। আগুনে পোড়া বসুন্ধরা সিটিইবা বাদ যাকে কেনো!

এর আগে ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ বসুন্ধরা সিটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভবনের সাতটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনায় নিহত হয় সাতজন। পুড়ে যায় বসুন্ধরা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়সহ তাদের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের দফতর। এবার ফায়ার ফাইটারদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।