অনেক প্রার্থীর মধ্য থেকে সঠিক নেতৃত্ব বাছাই করাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলছেন তার নেতৃত্বে গত আড়াই বছরে সংগঠনের বড় অর্জন ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি।
ছাত্রলীগের ৭০ বছরে পদার্পণের প্রাক্কালে চ্যানেল আই অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সাইফুর রহমান সোহাগ কথা বলেছেন সংগঠনটির সার্বিক বিষয় নিয়ে।
তিনি বলেন: ছাত্রলীগে অনেক পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী থাকেন। তাদের মধ্য থেকে মেধাবীদের বাছাই করে নির্বাচন করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর অর্জনের কথা যদি বলেন, তাহলে আমি বলবো অনেক অর্জনই রয়েছে। তারমধ্যে সবার আগে বলতে চাই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ। আমার আমলে আগের চেয়ে অনেক বেশি ছাত্রীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
‘এছাড়া দেশ ও জাতির বিভিন্ন সংকটকালে ছাত্রলীগ এগিয়ে এসেছে। যেমন- বন্যা, পাহাড় ধস, রোহিঙ্গা সংকট ইত্যাদিতে ছাত্রলীগ দূর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, সাতটি কলেজের আন্দোলনেও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। মূল কথা হলো শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করেছে।’
দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে একটি বড় সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া কি উপভোগ্য ছিল নাকি চাপের? এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগ বলেন: নেতৃত্বকে আমি দায়িত্ব মনে করি। আর এ দায়িত্ব পালন করাকে কখনও চাপ মনে হয়নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্বগুলোকে সঠিকভাবে পালন করে যেতে চাই।
নেতৃত্বের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এই সময়ে এসে ব্যক্তি সোহাগ নিজেকে সফল ভাবেন নাকি ব্যর্থ? এমন প্রশ্নের জবাবে তার উত্তর, আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কতটুকু সফল হতে পেরেছি তা বিচারের ভার নেতাকর্মীদের এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। আর ব্যর্থতা দেখি না। কারণ আমি দায়িত্বে কোন অবহেলা করেছি বলে মনে পড়ে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন: বর্তমানে ছাত্রলীগের একমাত্র কাজ হচ্ছে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় ক্ষমতায় আনা। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সাড়ে ছয়টায় ধানমণ্ডি ৩২, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা।