ওয়ানডে ফরম্যাটে তিন নম্বরে ব্যাট করেছেন মোটে তিনবার। কোনবারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাকিব আল হাসান। সোমবার মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনে নেমে করেছেন ৩৭ রান। তিনে ব্যাট করে এই রান যে পর্যাপ্ত নয় সেটি বুঝতে পারছেন সাকিব নিজেও। এবার তার চ্যালেঞ্জ ইনিংস বড় করা।
‘এটা বোধহয় থার্ড টাইম (তিনে) খেললাম। আসলে নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ না থাকলে উপভোগ করাও কঠিন। পরেরবার চেষ্টা থাকবে যাতে ইনিংস বড় করা যায়।’
মূলত দলের সেরা ব্যাটসম্যানই খেলেন তিন নম্বরে। যেখান নামলে ইনিংস বড় করার সুযোগও থাকে বেশি। সাকিব জানালেন এবার সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে, ‘তিন নম্বরের কাছে চাওয়া থাকে শুরুতে উইকেট পড়লে তারা যেন ইনিংস বড় করতে পারে। যেহেতু তিনে ব্যাট করার সুযোগ এসেছে, চেষ্টা থাকবে বড় ইনিংস খেলার।’
সাকিব প্রথমবার তিনে ব্যাট করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই, ২০১৪ সালে। চার বছরের ব্যবধানে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে তিনে ব্যাট করেছেন। মাঝে সাউথ আফ্রিকা সফরের প্রথম ওয়ানডেতে নেমেছিলেন তিনে। আউট হন ২৯ রানে।
বাংলাদেশ দলে তিন নম্বর জায়গাটায় স্থায়ী হতে পারেননি কেউ। কখনও মাহমুদউল্লাহ, কখনও ইমরুল কায়েস খেলেছেন এ পজিশনে। এবার সাকিবকেই বেছে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। টাইগার অলরাউন্ডার দল ও নিজের চাওয়া পূরণ করতে পারবেন কিনা সেটি সময়ই বলে দেবে।
আপাতত প্রথম ম্যাচে সাকিবকে খানিকটা সফলই বলা যায়। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে যে তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যেই ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠে তার হাতে।