উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের শিরোপার যুদ্ধে নামার অপেক্ষায় রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস। এর মাঝেই শুরু হয়ে গেছে আগামী মৌসুমের তোড়জোড়। আসন্ন মৌসুমের ড্রয়ের জন্য দলগুলো কে কোন ‘পটে’ পড়ছে সেটিও নির্ধারণ হয়ে গেছে। সেটা থেকে কেবল কোয়ালিফায়ারের অপেক্ষায় থাকা দলগুলোকেই ‘পটে’র হিসেবে আগামীতে নড়েচড়ে যেতে হতে পারে।
ইউরোপের লিগগুলো মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন খুঁজে পেয়েছে। শীর্ষে থাকা দলগুলোর ক্রমও নিশ্চিত। বুধবার রাতে ইউরোপা লিগ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। হোসে মরিনহোর দল আছে ‘পট-২’তে।
লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল ‘পট-১’এ আছে। সঙ্গী ইউরোপিয়ান লিগের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো। চ্যাম্পিয়নরা এই পটে থেকে গ্রুপ পর্বের ড্রয়ে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ার সুযোগ পায়। রিয়ালের সঙ্গে এখানে তাই বায়ার্ন, জুভেন্টাস, চেলসির মত দলগুলো।
সেখানে পট-২’তে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বশেষ পাঁচ বছরের উয়েফা পারফরমেন্সের হিসাব থাকে। এই পটে তাই শক্তিশালী দলগুলোই থাকে। এবার ম্যানইউর সঙ্গী বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো, পিএসজি, ম্যানসিটির মত জায়ান্টরা।
সেভিয়া বা নাপোলি কোয়ালিফায়ারের বাধা অতিক্রম করতে পারলে ‘পট-২’তে যাবে। তারা প্লে-অফ টপকাতে না পারলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রানার্সআপ টটেনহ্যাম এই পটে ঢুকে পড়বে। আপাতত নাপোলি ও টটেনহ্যাম তাই ‘পট-৩’তে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ড্র হবে আগামী ২৪ আগস্ট। সেখানে ‘পট-১’ ও ‘পট-২’ ঠিকঠাক থাকলেও প্রে-অফের জয়-পরাজয়ের হিসেবে ‘পট-৩’ ও ‘পট-৪’এ পরিবর্তন আসবে।
এক নজরে গ্রুপ পর্বের ড্রয়ে কে কোন পটে-
পট-১ (সব দল নিশ্চিত): রিয়াল মাদ্রিদ, বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস, বেনফিকা, চেলসি, মোনাকো, স্পার্তা মস্কো ও শাঁখতার দোনেৎস্ক।
পট-২ (প্রাথমিক): বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, পিএসজি, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ম্যানচেস্টার সিটি, এফসি পোর্তো, সেভিয়া (পরিবর্তন আসতে পারে)।
পট-৩ (প্রাথমিক): টটেনহ্যাম, এফসি বাসেল, আন্ডারলেখট। নাপোলি, ডায়নামো কিয়েভ, আয়াক্স, অলিম্পিয়াকোস ও লিভারপুল (এই পটের শেষ ছয় দলের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে)
পট-৪: রোমা, লেইপজিগ, সেল্টিক, নিস ও ফেয়েনোর্ড মত দলগুলো কোয়ালিফায়ারের বাধা টপকে এই পটে জায়গা করে নেবে।