চ্যানেল আইয়ের ১৭ বছরে পর্দাপণ উপলক্ষে বিভিন্ন সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর পৃথক বাণীর পাশাপাশি ক্রোড়পত্রে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান দর্শকদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, গণমাধ্যম জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পন। সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতি সজাগ থেকে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে গণমাধ্যম জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
চ্যানেল আইকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চ্যানেল আই সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং রুচিশীল অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে সমৃদ্ধ করবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তার বাণীতে বলেছেন, কল্যাণ আর আনন্দের বার্তা নিয়ে চ্যানেল আই পৌঁছে যাক দেশের সর্বত্র এবং বিশ্বময়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়র উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ক্রোড়পত্রে বিশেষ নিবন্ধ লিখেছেন।
নিবন্ধে তিনি বলেছেন, সংবাদ ও সংস্কৃতির সকল শাখায়, জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতিতে, অর্থনীতিতে, শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, পরিবেশ-প্রকৃতিতে চ্যানেল আই-এর উদ্ভাবনী পথচলা অব্যাহত আছে। এভাবে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি সমাজ অর্থনীতি ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সব মানুষের প্রত্যাশা ও আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে গেছে চ্যানেল আই।
আরেফিন সিদ্দিক আরো বলেন, চ্যানেল আই মানে হৃদয়ে গভীরভাবে বাংলাদেশকে ধারণ করা একটি গণমাধ্যম। চ্যানেল আই বিশ্বাস করে ‘লাল সবুজ আমাদের শক্তি’।
চ্যানেল আইয়ের ১৭তম বর্ষে পর্দাপণ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর দর্শকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, চ্যানেল আইয়ের ১৭ বছরে আমরা আশাবাদী হবো। ভাববো আগামী দিনগুলো আরো উজ্জ্বল হবে।
বাণীতে চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেছেন, এখনো বিদেশী চ্যানেলের আগ্রাসন বাণিজ্যিক অসম প্রতিযোগীতাকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে সাস্কৃতিক মূল ধারায় অটল থেকেই। এভাবে টিকে থাকা কঠিন। তারপরও আজ ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে গণমাধ্যমের যে প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটি এক বড় অর্জন।