চুরির একটি ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে সন্দেহভাজন হাংফগ নোয়েনকে। কিছুতেই তো কোন সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ পেনিসিলভিয়ার পুলিশ বাহিনীর মনে হতে লাগল এই ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী আছে তো! তাকে দিয়েই সন্দেহভাজনের একটা ছবি আঁকলেই তো আসামীকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
এবং সত্যিই সাক্ষী এঁকে ফেলল একটা ছবি। স্কেচে দেখা যাচ্ছে, উল্টো পিরামিড আকৃতির মুখোমণ্ডল। মাথার ওপর কান পর্যন্ত ঢেকে রেখেছে চুলগুলো।আবার চুল ঢাকার জন্য পরেছে অর্ধেক অংশের ছোট্ট টুপি। অদ্ভুত চেহারার এই মানুষের চোখদুটো আঁকা হয়েছে পেন্সিলের দুইটা ডট দিয়ে। চোখের ওপর ছিল না আইব্রো। এবং একটা কান দেখা গেলেও আরেকটা কান ছবিতে দেখা যায়নি।
তবে এই কিম্ভূতকিমাকার ছবি দেখে পেনিসিলভিয়ার পুলিশ একদম নিরাশ হয়নি। বরং বলেছে এই ছবি আমাদের সন্দেহভাজনকে খুঁজতে সাহায্য করবে। পুলিশ জানায়, সাক্ষীর চিত্রকর্মটি দেখে বোঝা যাচ্ছিল তিনি একজন অপেশাদার আঁকিয়ে। তবে এই ছবির সূত্র ধরেই আমরা নোয়েনের আসল চেহারা ধরতে সক্ষম হই।
মূলত জানুয়ারিতে একটা চুরির ঘটনাকে ঘিরে এই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। সম্ভবত ব্যক্তিটি সাউথ অ্যামেরিকা অথবা এশিয়ার বাসিন্দা। বয়স হতে পারে ৩০ থেকে ৪০ বছর। এবং উচ্চতা ১৫০ সেন্টিমিটার।
তবে স্কেচ এবং আরও তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঠিকই খুঁজে পায় আসল আসামী ৪৪ বছর বয়সী হাংফগ নোয়েনের একটা শারীরিক আকৃতি। বর্তমানে পুলিশ নোয়েনকে জেলে দেওয়ার জন্য খুঁজছে। তার বিরুদ্ধে চুরি ছাড়াও আরও দুইটি অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।