মানবতাবিরোধী অপরাধে শীর্ষস্থানীয় ৬ আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২১ মামলা। প্রসিকিউশন বলছে, বিচার প্রার্থীদের বিচার পাবার অধিকার আছে তাই কোনরকম চাপের কাছে মাথা নত না করে মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আর আপিল দ্রুত নিষ্পত্তির আশা রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সংগঠিত গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতন, লুন্ঠনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সোচ্চার ছিল বিভিন্ন সংগঠন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের শুরুতে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।
ট্রাইব্যুনাল শেষে আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছে দেলওয়ার হোসেন সাঈদী। তবে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আজম ও বিএনপি নেতা আবদুল আলিকে ট্রাইব্যুনাল সাজা দিলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে মৃত্যুবরণ করেন তারা। প্রসিকিউশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর পর্যন্ত রায় দেওয়া হয়েছে ৩০ মামলায়, সাজা পেয়েছে ৬৪ আসামি।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের পরে ২১ মামলায় আপিল করা হলে সম্প্রতি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা আবদুস সোবহান, আজহারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের নাম। এর বাইরে শুনানির অপেক্ষায় আছে বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মোবারক হোসেনসহ (মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল জব্বার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাহিদুর রহমান, সিরাজ মাষ্টার, বাগেরহাটের খান মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক, নেত্রকোনার ওবায়দুল হক, আতা উর রহমান ননী, আঙ্গুর মিয়া, মহিবুর রহমান বড় মিয়া, কিশোরগঞ্জের সামসুদ্দিন আহমেদ, শামসুল হক, জামালপুরের এস এম ইউসুফ আলী, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ মোসলেম প্রধান, আবদুল লতিফ, ইউনুছ আহমেদসহ অন্যান্য) ১৮ জনের মামলা।
প্রসিকিউশনের নথি থেকে আরও জানা গেছে, গত ৭ বছরে তদন্ত সংস্থা ৫৯৪ টি অভিযোগের মধ্যে ২১০ জনের বিরুদ্ধে ৭৬ টি মামলা করে। এর মধ্যে ৪৯টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। আর তদন্ত পর্যায়ে আছে ২৭ টি মামলা। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত, আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ও তদন্ত পর্যায়ে পলাতক আছে মোট ৭৫ আসামি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: