চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মুক্তারপুর-নলডাঙ্গা মাঠে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল বারেক (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী ছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বস্তাভর্তি ফেন্সিডিল, ১টি পাইপ গান, ২টি গুলির খোসা, ২টি হাসুয়া উদ্ধার করেছে।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, ভারত সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্যের বড় একটি চালান আসার খবরে দামুড়হুদা থানার পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুক্তারপুর গ্রামের নলডাঙ্গা মাঠে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে একদল মাদক ব্যবসায়ী গুলি ও বোমা ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
গোলাগুলির শব্দ পেয়ে গ্রামবাসী সংগঠিত হয়ে ঘটনাস্থলে আসে। আহত ব্যক্তিকে কার্পাসডাঙ্গার মিশনপাড়ার মরহুম আব্দুল গনির ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল বারেকের বলে শনাক্ত করে তারা।
মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল বারেককে মৃত ঘোষণা করেন। বারেকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলির খোসা, ২টি হাসুয়া ও বস্তাভর্তি ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হলে তাদেরকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আওলিয়ার রহমান জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই আবুল বারেক মারা যান। অপরদিকে গুলি বিনিময়ের সময় আহত হন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত গাজী শামীম রহমান, এসআই রাজিব আল রশীদ, এসআই শামসুল হক ও এসআই রাম প্রসাদ।
তাদেরকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা হয়েছে।