বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ও ভুটানের মধ্যে ঐতিহাসিক সড়ক যোগোযোগ চুক্তির আগে ভুটানে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন দেশগুলোর যোগাযোগ সচিবরা। সড়ক যোগাযোগ চুক্তিতে বড় কোনো বিষয়ে যাতে ভিন্নমত না থাকে সেজন্যই এ বৈঠক।
সোমবার মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে এ চুক্তি সই হবে। এর আগের দিন সচিব পর্যায়ের বৈঠকেই চুক্তি চূড়ান্ত এবং তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সে ঘোষণা দেওয়া হবে।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের চুক্তিটি সই হবে ১৫ জুন। এ জন্য দেশগুলোর যোগাযোগ সচিবরা এখন ভুটানে। আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে তারা নিজেদের মধ্যে চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেছেন।
এই চুক্তির জন্য আগেই ভুটানে পৌঁছেছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চ্যানেল আইকে তিনি বলেছেন, এটি বর্তমান সরকারের অনেক বড় এক অর্জন, এর মাধ্যমে অনেক সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবেই এই চুক্তি হচ্ছে। সেদিক থেকে চুক্তিটি আমাদের সাফল্যের মুকুটে নুতন পালক যুক্ত করবে। অর্থনীতিতেও সুদূরপ্রসারী ফল ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘টেকনিক্যাল কারণে চুক্তিতে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা আসেনি। পর্যায়ক্রমে তারাও আসবে বলে আশা করি। এতে এন্ট্রি এবং এক্সিট দুটো সুযোগই রাখা হয়েছে।
চুক্তি হলে এ চারটি দেশের মধ্যে যাত্রী পরিবহন, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং পণ্য পরিবহনের গাড়ি চলাচল করবে।
এরই মধ্যে চার দেশে নিজ নিজ দেশে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে। চুক্তি সইয়ের পর আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিগুলো বিভিন্ন স্থলবন্দরে কোনো সমস্যা থাকলে তার সমাধান করে চুক্তি বাস্তবায়ন করবে।