চীনের সীমান্ত ঘেঁষে ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু আগামী ২৬ মে উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন ভারতের প্র্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৌশলগতভাবে গুরত্বপূর্ণ এ সেতুটি তিনি দেশটির জনগণকে উৎসর্গ করবেন বলে জানা গেছে।
আসাম রাজ্যে অবস্থিত ৯.১৫ কি.মি দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর। ভারতে এর আগে নির্মিত সবচেয়ে দীর্ঘ মুম্বাই সেতুর চেয়ে এই সেতু ৩.৫৫ কিমি বেশি দীর্ঘ।
বিশেষ করে উত্তরপূর্ব সিনো-ইন্ডিয়ান সীমান্তে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও আসাম এবং অরুনাচল প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরো সহজ করবে এটি। সেতুটি নির্মাণের ফলে আসাম এবং অরুনাচলের মধ্যে যাতায়াতে প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে।
আসাম এবং অরুনাচল প্রদেশ কৌশলগতভাবে দেশটির খুবই গুরত্বপূর্ণ অঞ্চল। সেতুটি চীন সীমান্তে হওয়ায় সংকটকালীন সময় সেনাবাহিনীর জিনিসপত্র দ্রুত নিতে অনেক সহজ হবে। কেননা মিলিটারি ট্যাংক যাতে খুব সহজে যাওয়া আসা করতে পারে এমন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন করেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
অবশ্য রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাহিনী ছাড়াও আসাম এবং অরুনাচলের জনগণের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করতে সেতুটি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন আসামের মূখ্যমন্ত্রী।
২০১১ সালে সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এটি আসামের রাজধানী দিসপুর থেকে ৫৪০ কি.মি এবং অরুনাচলের রাজধানী থেকে ৩০০ কি.মি দূরে অবস্থিত।
তবে চীন সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কি.মি দূরে হওয়ায় সেতুটি ভারতের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ধারণা করা হচ্ছে।