চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং এর বাংলাদেশ সফর দুই দেশের ঐতিহাসিককাল থেকে চলে আসা কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর নিঃসন্দেহে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলবে। জিনপিং এর সফরের প্রাক্কালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “বহু প্রতীক্ষিত এ সফরের মধ্য দিয়ে আমরা এই সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই”। তিনি দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে নতুন যুগের সূচনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। দ্যা ডেইলি প্রকাশিত এক নিবন্ধে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং লিখেছেন, “চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতায় সোনালী ফসল ফলবে”।
চীনা রাষ্ট্রপতির সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উপকূলীয়দুর্যোগব্যাবস্থাপনা সংক্রান্ত যে ২৭টি ঋণ ও সহায়তা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে তা সময়মত এবং সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করতে পারলে এই সফর নিশ্চয়ই সোনালী ফসল দেবে। বাংলাদেশ বিগত একদশকের বেশী সময় ধরে ৬ শতাংশের অধিক হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার হার বেড়েছে, উচ্চ শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে, শিশু মৃত্যু কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে।
জনসংখ্যার মধ্যে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা এখন সবচেয়ে বেশী। সঠিক পথে রাষ্ট্র পরিচালনা হওয়ায় সামাজিক সূচকগুলো দারুণভাবে অগ্রগতি নির্দেশ করছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলছে। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের প্রায় সবকয়টি অর্জন করায়, উন্নয়ন কাজ ডিজিটালাইজেশন করায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় জাতিসংঘ বেশ কিছু পুরস্কারে ভূষিত করেছে বাংলাদেশকে।
অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের মধ্যে আটকে থাকার পর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে তা ৭ শতাংশ রেখা অতিক্রম করে ৭.০৫ শতাংশ অর্জন করেছে। চলতি বছরে এই হার ৭.২ শতাংশ হবে বলে আশা করছে সরকার। বছর দুয়েক হল, বাংলাদেশ দরিদ্র থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আগামী ২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবার আশা জাগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষজ্ঞরাও একমত। তারা বলছেন, বাংলাদেশ প্রস্তুত; সঠিক পথে চললে ২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব। সে লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে স্বাধীনতা বিরোধী দেশি এবং বিদেশী শক্তিগুলো ১৩ এবং ১৫ সালে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, হত্যা করেছে কয়েক শত মানুষ, আহত করেছে কয়েক হাজার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে তারা সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়ে লেখক, ধর্মযাজক, বিদেশিসহ শ খানেক মানুষ হত্যা করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চেয়েছে। বাংলাদেশ দৃঢ়তার সঙ্গে সে সকল বাঁধা অতিক্রম করে এসেছে। সারা দুনিয়া জুড়ে এখন বাংলাদেশের প্রশংসা।
সম্প্রতি আমেরিকাসহ একাধিক দেশ বাংলাদেশকে “উন্নয়নের রোল মডেল” বলে অভিহিত করেছে। এরকম আর্থ-সামাজিক, ডেমোগ্রাফিক এবং রাজনৈতিক বাস্তবতায় সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের একটা অর্থনৈতিক “ব্রেক থ্রু” দরকার – বড় বড় অবকাঠামো (রাস্তা-ঘাট, বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইত্যাদি)নির্মাণ এবং কৃষি ও শিল্পে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নিশ্চিত করা দরকার। এর জন্য আমাদের টাকা দরকার। টাকা আমাদের কিছু আছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ থেকে আমরা কিছুটা খরচ করতে পারি। আগামী তিন মাসের আমাদানীর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ হাতে রেখে রিজার্ভের একটা অংশ অবকাঠামো নির্মানে খরচ করা যায় এবং তা করাও হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান এর বড় উদাহরণ।
রিজার্ভ থেকে খরচ করলে রিজার্ভ কমে যাবে। রিজার্ভ কমে গেলে দেশের অর্থনৈতিক শক্তি কমবে এবং একই সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি ম্লান হবে, বিদেশীদের এখানে ব্যাবসা করার সাহস কমবে। তাছাড়া যত পরিমাণ বিনিয়োগ দরকার তত পরিমাণ রিজার্ভ আমাদের নেই। বিনিয়োগের জন্য টাকা ঋণ আকারে বা সাহায্য আকারে আসতে পারে। সাহায্য আবার দুই রকমঃ সুদ মুক্ত ঋণ এবং অনুদান। যে আকারেই আসুক না কেন এখন আমাদের অবকাঠামোতে এবং কৃষি ও শিল্পে প্রচুর বিদেশী বিনিয়োগ দরকার। যত শীগ্র অবকাঠামো তৈরি করা যাবে তত দ্রুত দেশি এবং বিদেশী বেসরকারী বিনিয়োগ এসে আমাদের কৃষি, শিল্প এবং সেবা খাতে উৎপাদন বাড়াবে, অর্থনীতি গতিশীল হয়ে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে দেশ। দেশ অর্থনীতিতে স্বনির্ভর হলে মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়বে,সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়ন হবে, দেশ থেকে দারিদ্র পালাবে।
ঠিক এমন দরকারের সময় বিপুল (২০-৩০ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে পৃথিবীর এক নম্বর (পিপিপি মেথডে) অর্থনৈতিক শক্তি চীন। তাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের ৫৬% হবে স্বল্প সুদে ঋণ, ৩৬% অনুদান এবং ৮% সুদ মুক্ত ঋণ। স্বল্প সুদের ঋণের ক্ষেত্রে চীন ২% হারে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড সহ ২০ বছর মেয়াদী ঋণ দিতে আগ্রহী। অর্থাৎ প্রস্তাবিত চীনা বিনিয়োগের জন্য গড়ে কার্যকর খরচ পড়বে ১.১২%। এই খরচ বাজার দরের চেয়ে অনেক কম তবে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ এর দেয়া ঋণের সুদের থেকে সামান্য বেশী। বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ সর্বোচ্চ ২-৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়, ২০-৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার সামর্থ তাদের নেই।
বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং কম বলে, বাজার দরে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বণ্ড মার্কেট থেকে রাষ্ট্রীয় বণ্ড ইস্যু করে ঋণ নিতে হলে তার হার হবে কমপক্ষে ৪/৫%। ২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য আমাদের দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলতে হবে। এ জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে যেমন খরচ করতে হবে, তেমনি ঋণ করেও অবকাঠামো বানাতে হবে। বিদেশী ঋণ নিয়ে অবকাঠামো তৈরি করলে ঋণের অর্থ সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ৩০ বছরে যে পরিমান অর্থ সুদাসলে ফেরত দিতে হবে তার থেকে অনেকগুণ বেশী আয় এই সময়ে ওই অর্থ দিয়ে করা যাবে। ফলে ৩০ বছর পর দেখা যাবে সুদাসলে ঋণ পরিশোধ হয়ে গিয়েছে;নীট লাভ হিসেবে থেকে যাবে অবকাঠামো এবং তার উপর নির্ভর করে অর্জিত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
এ ক্ষেত্রে জাতীয় আয়ের সঙ্গে ঋণের পরিমাণের অনুপাতটা খেয়াল রাখতে হবে এবং সেসব অবকাঠামোতেই ঋণের টাকা বিনিয়োগ করতে হবে যেখান থেকে সৃষ্ট আয় সুদাসলে ঋণের পরিমাণের থেকে বেশী হয়। উন্নত দেশগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় জাতীয় আয়ের ৮০% পর্যন্ত ঋণ নিয়ে যাকে। আইএমএফ এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশে জাতীয় (সরকারী এবং বেসরকারী) ঋণের পরিমাণ ছিল জাতীয় আয়ের মাত্র ১৩%। এ ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। চীন আমাদের এখানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে আমাদের প্রয়োজন মেটাতে এসেছে এ কথা যেমন ঠিক, তেমনি বিনিয়োগযোগ্য ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে চীন নিজেও বিপাকে আছে, সে কথাও ঠিক।
টানা ৩০ বছর ধরে উচ্চ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা চীনেরসঞ্চিত অর্থের বিরাট অংশ বিনিয়োগ করা আছে আমেরিকার ট্রেজারি বণ্ডে। আমেরিকাসহ সকল দেশ বিভিন্ন মেয়াদী বণ্ডে বিভিন্ন হারে সুদ প্রদান করে থাকে। বর্তমানে একমাস মেয়াদী আমেরিকান বণ্ডের সুদের হার ০.২৬%, ৬ মাস মেয়াদী বণ্ডে ০.৪৫%, ৫ বছর মেয়াদী বণ্ডে ১.২৭% এবং ৩০ বছর মেয়াদী বণ্ডের সুদের হার বর্তমানে ২.৫%। বেশী মেয়াদের বণ্ডে বিনিয়োগ করলে সুদ বেশী পাওয়া যায় কিন্তু তারল্য কমে যায়। অর্থাৎ প্রয়োজনের সময় তা নগদে রূপান্তর করা কঠিন হয়। আবার কম মেয়াদী বণ্ডে বিনিয়োগ করলে তার তারল্য সুবিধা বেশী হলেও সুদ কম। তাই এক দেশের সরকার যখন অন্য দেশের বণ্ডে বিনিয়োগ করে তখন তা বিভিন্ন মেয়াদী বণ্ডে করে ব্যালেন্স করে থাকে।
সে বিবেচনায় চীন যে অর্থ মার্কিন ট্রেজারি বণ্ডে বিনিয়োগ করেছে তা থেকে তাদের সুদ আয় গড়ে ১ শতাংশের কাছাকাছি হবার কথা। অন্যদিকে মার্কিন ট্রেজারি বণ্ডে বিনিয়োগ করে তারা আমেরিকার কাছে একটু ধরাও আছে – বড় কোন রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিলে আমেরিকা প্রয়োজনের সময় চীনের টাকা চীনকে ফেরত দিতে অস্বীকার করতে পারে। বাংলাদেশের জন্য যে বিনিয়োগ প্যাকেজ নিয়ে চীনা রাষ্ট্রপতি এসেছেন তা থেকে চীনের গড় আয় হবে ১ শতাংশের কাছাকাছি। অর্থাৎ তারা তাদের মার্কেট রেটে ডিল করতে চায়। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তারা নিজেদের অতিরিক্ত কারখানাগুলো এখানে নিয়ে আসতে পারবে, এখানে পণ্য উৎপাদন করে ১৬ কোটি মানুষের বিরাট বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রয় করতে পারবে, প্রকল্পগুলোতে নিজেদের পণ্য এবং সেবা বিক্রয় করতে পারবে; বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রগাঢ় হবে যার সুফল আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যুতে পাবে; নিজেদের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড প্রকল্প বাস্তবায়ণ সহজ হবে; বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়ার অংশিদারিত্ব বৃদ্ধি পাবে।
ব্যবসায়ীক বিচার-বুদ্ধি খাঁটিয়ে, সামগ্রিকভাবে লাভ-ক্ষতি বিবেচনা করেই চীন এখানে বিনিয়োগ করতে এসেছে। এখানে দান-খয়রাতের কিছু নেই। আমরাও দান-খয়রাত চাইনা। অতীতে সামরিক শাসকেরা এবং তাদের অনুসারীরা দান-খয়রাত করে দেশটাকে মধ্যপ্রাচ্য আর আমেরিকার হাতের পুতুল বানিয়েছিল। তার ফলে দারিদ্র হয়েছিল দীর্ঘতর, সার্বভৌমত্ব হয়েছিল খর্ব। চীনা বিনিয়োগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় আছে। অতীতে তারা যেসব প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে সেসব প্রকল্পের জন্য মালামাল তাদের দেশ থেকে কেনার বাধ্যবাধকতা ছিল। এছাড়া চীন নিজেই ঠিকাদার নিয়োগ করে দিয়েছে। ভারতের সঙ্গে ২ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ চুক্তি হয়েছে সেখানে ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়ে ভারত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি। ভারতীয় কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে বাংলাদেশ সুবিধাজনক ঠিকাদার বেছে নিয়েছে।
চীনের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যেতে পারে। চীনা ঠিকাদারদের মধ্য থেকে প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ঠিকাদার নিয়োগ করতে পারলে প্রকল্প খরচ কমানো যাবে। প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে ঠিকাদার নিয়োগ করার প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। এ কাজ গভীর পর্যালোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত জনবল দিয়ে করাতে হয়। সরকারি কর্মকর্তাগণ এই কাজ গভীর মনোনিবেশের সঙ্গে করেন এমন ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে নেই। তার উপর রয়েছে দুর্নীতির ঝুঁকি। দুর্নীতির ঝুঁকি কমাতে এবং দক্ষতার সঙ্গে ঠিকাদার নিয়োগের কাজ করতে দেশ-বিদেশের বেসরকারী খাত থেকে উপযুক্ত লোকদের নিয়োজিত করা যেতে পারে। এতে চীনা বিনিয়োগের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। বিনিয়োগের সুষ্ঠু ব্যবহারের মধ্যেই নিহিত আছে সাফল্য। কত টাকা চীন বিনিয়োগ করল বা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিল তা বড় কথা নয়; কত দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে তা কাজে লাগানো গেল সেটাই হবে সাফল্যের মাপকাঠি।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)